শ্রমিকনেতা রিপন হত্যায় জড়িত আরো ২জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০

শ্রমিকনেতা রিপন হত্যায় জড়িত আরো ২জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন রিপন হত্যায় জড়িত আরো ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৬টায় ছাতক থানার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান মিন্টু ও রাত ১০টায় মোগলাবাজার থানার দাউদপুর থেকে ইসমাইল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিন্টু দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দির ১নং রোডের মৃত বশির মিয়ার পুত্র ও ইসমাইল একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার পুত্র। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আখতার হোসেন।

এর আগে ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে ইকবাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সেজুল (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯।

উলে­খ্য; গত ১০ জুলাই রাত ১০টায় দক্ষিণ সুরমা থানার ভাবনা পয়েন্টে ভাবনা রেষ্টুরেন্টের সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক লরির শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন রিপন’কে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তার সঙ্গীয় বাবলা তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। দুষ্কৃতিকারীগন ঘটনা ঘটিয়ে অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত শ্রমিক নেতা মো: ইকবাল হোসেন রিপন’কে লোকজন চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

এই হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা ১৩ জনের নাম উলে­খ সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-০৯, তাং- ১১/০৭/২০২০খ্রি:, ধারা-১৪৩/৩০২/৩২৬/৩০৭/১১৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।

ঘটনার পরপর পুলিশ এজাহারনামীয় আসামী নোমান আহমদ ও ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাদ্দাম হোসেন এবং মো: তারেক আহমদ’কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই আসামী মো. তারেক আহমদ দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ