সাহেদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের হটলাইনে ১৪০ অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২০

সাহেদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের হটলাইনে ১৪০ অভিযোগ

সিল-নিউজ-বিডি ডেস্ক :: করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের হটলাইনে এখন পর্যন্ত ১৪০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।

রোববার র‌্যাবের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।

আশিক বিল্লাহ জানান, সাহেদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের হটলাইন নম্বরে ১২০ ও ইমেইলে ২০ টি অভিযোগ এসেছে।

র‌্যাব বলছে এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, সরকারি চাকরি ও বদলির কথা বলে টাকা আদায়, বালু ভরাট, রড, সিমেন্ট, বিটুমিন সরবরাহকারীকে টাকা না দেওয়া, ব্যাংক থেকে ঋণ সংক্রান্ত অভিযোগ, রিকশাভ্যানের ভুয়া সনদ, হাসপাতালে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। অভিযোগকারীদের অনেকেই প্রবাসী। রিজেন্টের কর্মীদের অনেকে বেতন না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন।

র‌্যাবের হটলাইন আরও দুই থেকে তিন দিন চালু থাকবে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেবে।

গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

গ্রেফতারের পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সাহেদকে ঢাকায় আনার পর উত্তরায় সাহেদের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখানে থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ১৪ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

প্রসঙ্গত সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়।

অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।

৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে।

অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব, হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব, হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্পপ্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।

এসব আসামির মধ্যে সাতজনকে ইতিমধ্যে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।