সিলনিউজ ডেস্ক ::করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে যশোরের বেনাপোল সীমান্তের ওপারে পেট্রাপোলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করলেও দৃশ্যমান কোনো কর্মকাণ্ড নেই বেনাপোলে। ইমিগ্রেশনে প্রবেশের আগে ভারত ফেরত যাত্রীদের মাক্স ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করা গেলেও ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহকারিরা ভঙ্গ করছে স্বাস্থ্যবিধি।

বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের প্রধান সড়ক, অভ্যন্তরীণ সড়কসহ আশপাশের যত্রতত্র হরহামেশা মাক্স ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে ভারতীয় চালক এবং সহকারিরা। বন্দরের শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও মাক্স ব্যবহার না করার প্রবণতা দেখে গেছে। বন্দর অভ্যন্তরে প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষের মুখে নেই মাক্স।
করোনাকালীন সময়ে ভারতীয় চালকদের নিয়ন্ত্রণে বন্দর কতৃর্পক্ষ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে আগের অবস্থানে ফিরে গেছে চালক ও সহকারীরা। বন্দর এলাকার বিভিন্ন দোকানপাটে অবাধ যাতায়াতসহ বেনাপোল বাজারে এসে কেউ কেউ মাছ-তরিতরকারি ক্রয় করছে।
ভারতীয় ট্রাকচালকদের এমন কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করলেও বেনাপোল বন্দরে ভারতীয়দের অবাধ চলাচল আমাদের আতঙ্কিত করছে।’

বন্দরের পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্দরে যাতে ভারতীয় মাক্স ছাড়া চলাচল করতে না পারে সে জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সম্পূর্ণ প্রতিপালন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্র অভিযান পরিচালনা করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

সিলনিউজবিডি ডট কম / এস:এম:শিবা

বিডি প্রতিদিন