‘হায়দার রিজভী: সিনেলোকের পরমপুরুষ’ নিয়ে আসছেন চিত্রনির্মাতা রাজীব

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২২

‘হায়দার রিজভী: সিনেলোকের পরমপুরুষ’ নিয়ে আসছেন চিত্রনির্মাতা রাজীব

বিনোদন প্রতিবেদন :: ৮ জানুয়ারি শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে চিত্রনির্মাতা রাজীব আহসান সম্পাদিত ‘হায়দার রিজভী : সিনেলোকের পরমপুরুষ’ গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করছে প্যান্ডারোস বক্স।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর এমপি, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- চলচ্চিত্রকার শামীম আখতার, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম এবং চারুশিল্প ও চলচ্চিত্র সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার।

আলোচনা পর্ব শেষে হায়দার রিজভী নির্মিত প্রাসিয়ান অফিসার এবং ‘নার্সারি রাইমস’ চলচ্চিত্র দুটি প্রদর্শিত হবে।

হায়দার রিজভী ১৯৪৪ সালের কিশোরগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল আর কলেজের পাঠ চুকিয়ে ১৯৬২ সালে বাবার ইচ্ছায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পড়তে যান লন্ডনে। কিন্তু চলচ্চিত্রের সঙ্গে সখ্য যার তার মন বসে না এই হিসাবনিকাশে, ভর্তি হন ‘অ্যাক্টরস স্টুডিও’তে এবং সেখানেই স্নাতক সম্পন্ন করেন ১৯৬৬ সালে। এরপর দুই বছর যুক্তরাজ্যে পেশাদারি মঞ্চনাটকে কাজ করে ফিরে আসেন বাংলাদেশে এবং তৎকালীন পিটিভির ঢাকা কেন্দ্রে সহকারী প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে টেলিভিশনের পাশ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ স্থানে যাতায়াতে নানাভাবে সহায়তা করতেন তিনি এবং পাকিস্তানি মিলিটারির নৃশংসতার তথ্য বিভিন্ন বিদেশি মিডিয়াতে গোপনে সরবরাহ করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিটিভিতে প্রযোজক পদে উন্নীত হন এই গুণী নির্মাতা। এর পরের বছরই পোল্যান্ডের Lody Film School-এ বৃত্তি নিয়ে ফিল্ম ডিরেকশনে পড়তে যান।

১৯৮০ সাল হায়দার রিজভীর জীবনে বিশেষ ঘটনাবহুল। এ বছরেই পোলিশ নাগরিক ক্রিস্টিনা জোফিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সে বছরেই নির্মাণ করেন তার গ্র্যাজুয়েট ফিল্ম ‘প্রাসিয়ান অফিসার। খড়ফু ঋরষস ঝপযড়ড়ষ-এ স্নাতকোত্তর শেষ করে আবার ফিরে আসেন দেশে এবং পুনরায় বিটিভিতে যোগদান করেন প্রযোজক পদে। ১৯৮৪ সালে পোল্যান্ডে ফিরে যান এবং বিশ্বখ্যাত নির্মাতা আন্দ্রে ভাইদা এবং লার্স ভন তিয়ার-এর প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। ২০০৪ পর্যন্ত পোল্যান্ডেই একাধিক প্রামাণ্যচিত্র, কাহিনীচিত্র এবং টিভি। সিরিজ নির্মাণ করেন, যার মধ্যে কাহিনীচিত্র ‘Nursery Rhymes’ এবং টিভি সিরিজ ‘Adam and Eve’ উল্লেখযোগ্য।

২০০৫ সালে অবশেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন হায়দার রিজভী, যোগদান করেন বৈশাখী টেলিভিশনে প্রতিষ্ঠাতা সিইও হিসেবে। এক বছর পর পদত্যাগ করেন এবং ২০১২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় নিয়োজিত হন শিক্ষকতা পেশায়। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্রের শিক্ষক হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করে যাচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের।

সাকিব আহমেদ / ০৮ জানুয়ারি