সিলেট ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
অজয় বৈদ্য অন্তর:: সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন,পানির বিল ব্যাপক হারে বাড়িয়ে কম হারে কমিয়ে ধামা চাপার চেষ্টা করছেন মেয়র আরিফ। তিনি বলেন প্রায় তিন মাসেরও সময় পানির বিল বাড়ানোর ফলশ্রুতিতে ব্যাপক আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। যা ছিলো অযুক্তিক ও অমানুবিক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে এক বিবৃতেত তিনি এ কথা বলেন। পানির বিল বাড়ানোর কারণে সিসিক মেয়রের প্রতি অতিষ্ট ছিলো সিলেট নগরীর সাধারণ মানুষ। তারা অনেক মিছিল মিটিং এমনকি প্রতিবাদও করেছিলো এ নিয়ে।
প্রায় ৪ মাস নগরবাসীর প্রতিবাদের পর অবশেষে পানির বিল কমিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। তিন ক্যাটাগরিতে ৪ স্তরের ডায়ামিটারে ১শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে পানির বিল।
গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) সিসিক পরিষদের এক বৈঠকে টাকা কমিয়ে নতুন বিলের প্রস্তাব করা হয়। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সম্মতির ভিত্তিতে পরে সেটি চূড়ান্তও করা হয়।
সিসিকের নতুন বিলের হার হচ্ছে- আবাসিক সংযোগে প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি ডায়ামিটারের (ব্যাস) লাইনে বিল ৩০০ টাকা (বাড়িয়ে করা হয়েছিলো ৫০০ টাকা), পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বিল ৬০০ টাকা (ছিলো ৮০০ টাকা) এবং এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১ হাজার ২শ টাকা (ছিলো ১ হাজার ৫শ টাকা টাকা)।
বাণিজ্যিক সংযোগে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে মাসিক বিল ৭০০ টাকা (বাড়িয়ে করা হয়েছিলো ৮০০ টাকা), পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১১০০ টাকা (ছিলো ১২০০ টাকা) ও এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ২ হাজার টাকা (ছিলো ২ হাজার ২০০ টাকা)।
প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে মাসিক বিল ৭০০ টাকা (বাড়িয়ে করা হয়েছিলো ৮০০ টাকা), পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১১০০ টাকা (ছিলো ১২০০ টাকা) ও এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ২ হাজার ৫ শ টাকা (ছিলো ৩ হাজার টাকা।)
এছাড়া সরকারি সংযোগে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে মাসিক বিল ৭০০ টাকা (বাড়িয়ে করা হয়েছিলো ৮০০ টাকা), পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১১০০ টাকা (ছিলো ১২০০ টাকা) ও এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ১ হাজার ২০০ টাকা (ছিলো ১ হাজার ৫০০ টাকা)।
বিল কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠায় আমরা জরুরি সভা করে পানির মাসিক বিল কমিয়েছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাসিক পানির বিল দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মসজিদ, মন্দির, গির্জাগুলোকে পানির বিল দিতে হবে না।
তিনি বলেন, নগরীতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধারা কেবল নিজের হোল্ডিং নম্বরের পানির বিল মাফ পাবেন। বর্তমানে নির্ধারিত পরিমাণ বিল দেওয়া হলেও আগামী পাঁচ থেকের ছয় মাসের মধ্যে পানির মিটার প্রক্রিয়া চালু হবে। এতে যে যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করবেন ওই পরিমাণ বিলও দেবেন।
মেয়র বলেন, ধর্মীয় সব উপাসনালয়ের পানির বিল দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়েছে। আমরা মসজিদ-মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ের পানির বিল মওকুফ করে দিয়েছি। তবে কেউ অতিরিক্ত পানি বিনা কারণে অপচয় করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে সোমবার(১০ জানুয়ারি) সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি শনিবার রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে দুপুর ১২ টায় বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছিলেন ।
তখন তিনি বলেছিলেন ইতোমধ্যে পানির বিল বৃদ্ধির জন্য মহানগর আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ জানিয়েছে। পানির বিল সহনীয় পর্যায়ে আনার আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সিসিক’র পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সেজন্য মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মসূচী ঘোষণা করছে।
এবিএ/১৩ জানুয়ারি
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ আম্বিয়া পাভেল
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি