সিলেট ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
সিলনিউজ ডেক্সঃ সিলেট সদরের এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে খাদিমনগর ইউনিয়নে একের পর এক চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হতাশার দীর্ঘশ্বাস কেবল দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘ হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগের পাশাপাশি চোর ধরিয়ে দিতে পারলে অর্ধলক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন এক ভুক্তভোগী নাগরিক।
জানা গেছে, শহরতলীর খাদিমনগর ইউনিয়নের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি বাড়িঘরেও চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
বিশেষ করে গত আক্টোবর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গোটা খাদিমনগরে অন্তত ৮/১০টি চুরির ঘটনা ঘঠেছে। এসব ঘটনায় অনেক মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
পুলিশী টহল থাকলেও রাতের আঁধারে ইউনিয়নের ছালিয়া, পাগলামোড়া, সিংগারপুল, আটকিয়ারি ও ধোপাগুলে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। কোন প্রতিকার না হওয়ায় জনমনে বিরাজ করছে চরম হতাশা।
এ ব্যাপারে থানা পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগের পাশাপাশি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। তবে তেমন কোন ইতিবাচক ফলাফল এখনো পাওয়া যাচ্ছেনা।
সম্প্রতি ছালিয়া কলারতল এলাকার মেসার্স ফরহাদ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড স্টোনক্রাশারের মালিক আব্দুল আহাদ এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর পরপর দুই রাতে তার ক্রাশার মিলের দুইঘোড়া বিশিষ্ট মোটর, ওয়েল্ডিং মেশিন, লৌহজাত সামগ্রীসহ প্রায় লাখ টাকার সম্পদ কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। অনেক চেষ্টায়ও চোর বা চুরি হওয়া মালামালের কোন হদিস মিছলছেনা। অবশ্য তিনি তার অভিযোগে কোন আসামীর নাম উল্লেখ করেন নি।
থানায় অভিযোগের পাশাপাশি আব্দুল আহাদ নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এমনসব চুরির ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করে চোর ধরিয়ে দিতে পারলে অর্ধলক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
শুধু আব্দুল আহাদই নয়, উল্লিখিত গ্রামগুলোর আরও অনেক অধিবাসীই একই অভিযোগ করেছেন।
ছালিয়া এলাকার আব্দুল বশির (৩৪) জানান, কয়কেদিন আগে তার বাসার বারান্দা থেকে অজ্ঞাতনামা চোরেরা মূল্যবান কিছু নির্মাণ সামগ্রী ( রড ) নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, শুধু ছালিয়াই নয়। প্রতিবেশী অন্যান্য গ্রামেরও একই অবস্থা।
স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ পেশাদার চোর চক্রের সাথে আছে নেশাখোরদের উপদ্রব। ইয়াবা ও হেরোইন সেবনকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। তারা নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরির আশ্রয় নিচ্ছে। করছে ছিনতাইও।
তাদের অভিযোগ, পুলিশ ঠিকমতো মনিটরিং না করায় এই দূরবস্থা। তারা কাজ করলে মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারতেন। নেশাখোরদের ব্যাপারে তারা অভিভাবকদের সচেতনতার পাশাপাশি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের আরও কার্যকর উদ্যোগের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
তবে পুলিশের অমনোযোগীতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির।
তিনি বলেন, চুরির উপদ্রব কিছুটা বেড়েছে এটা সত্য। তবে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছেনা- এ অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আমরা কাজ করছি। হঠাৎ করে চুরির প্রবনতা বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করে আমরা প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এস۔ এম۔ শিবা
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি