ইতিহাস মুর্শিদকুলি খান

প্রকাশিত: ১:২৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২২

ইতিহাস মুর্শিদকুলি খান

জাফর খান  সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং রাজনৈতিক কলহে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তার মৃত্যুর পর বাংলাসহ বহু অঞ্চলের রাজনৈতিক দৃশ্যে বড় পরিবর্তন দেখা যায়। তার অংশ হিসেবে সুবাহ বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন ‘নবাবি’ শাসন। বাংলার বুকে নবাবি শাসনামলের গোড়াপত্তন করেন যিনি তিনি ছিলেন মুর্শিদকুলি খান। ১৭১৭ সালে তিনি বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে দায়িত্ব নেন। প্রাদেশিক দেওয়ান, বাংলা এবং ওড়িশার নাজিম, জেলা ফৌজদারসহ বহু পদে দায়িত্ব পালন করা মুর্শিদকুলি খানের হাত ধরে বাংলার ইতিহাসে রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়। এই মুর্শিদকুলি খানের জীবনযাত্রা অত্যন্ত ঘটনাবহুল এবং বৈচিত্র্যময় ছিল। মুর্শিদকুলি খানের জন্ম নিয়ে বেশ কয়েকটি মতামত প্রচলিত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত মতের একটি হচ্ছে আনুমানিক ১৬৬০ সালে তিনি দাক্ষিণাত্য মালভূমির এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মকালে তার নাম ছিল সূর্যনারায়ণ মিশ্র। তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা সুবিধাজনক ছিল না। মাত্র ১০ বছর বয়সে সূর্যনারায়ণকে শায়েস্তা খানের একজন দেওয়ান কিনে নেন। হাজি শফি ইস্পাহানি নামক সেই দেওয়ান তাকে ধর্মান্তরিত করে নাম রাখেন মোহাম্মদ হাদি। হাজি শফি মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে ‘দেওয়ান-ই-তান’ হিসেবে বাংলা ও দাক্ষিণাত্যে দায়িত্বরত ছিলেন। দেওয়ানের কাছে পুত্রস্নেহে বড় হতে থাকেন শিশু হাদি। তার শিক্ষার বন্দোবস্ত করেন হাজি শফি। উন্নত শিক্ষার জন্য তাকে সুদূর পারস্যে পাঠানো হয়। অভিভাবক হাজি শফির মৃত্যু পর্যন্ত তিনি পারস্যে অবস্থান করেন।

সাকিব আহমেদ / ১৭ জানুয়ারি

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ