সিলেট ও সুনামগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০

সিলেট ও সুনামগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সোমবার থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। ফলে কিছুটা হলেও স্বতিতে দেখা যাচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষদেরকে।

পুরো দেশে এই পর্যন্ত বন্যায় কবলিত হয়েছে ২৭টি জেলা।

এফএফডব্লিউসির বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা বানের পানির বৃদ্ধির মাত্রা ২৫ জুলাই নাগাদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। ফলে সৃষ্ট বন্যা ২০ জুলাই থেকে ১০ দিন স্থায়ী হতে পারে।

এদিকে সোমবার সকাল ৯টায় সিলেটের সুরমা নদীর পানি সব পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা গোয়াইনঘাটের সারি ও কানাইঘাটের লোভাছড়া নদীরও। এ দুই নদীর পানিও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি এ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১ সপ্তাহ ধরে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি কমতে শুরু করায় আশায় বুক ভরে উঠেছিল বানভাসিসহ উপজেলাবাসীর। কিন্তু গত দু’দিনের অব্যাহত ভারি বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্রুত পানি বৃদ্ধিতে আবারও হতাশায় ভুগছেন তারা।

এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ফসলসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় রয়েছেন হাওরপারের বানভাসি মানুষ।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, বৃষ্টি কম হওয়া এবং উজানেও বৃষ্টিপাত না থাকায় সিলেটের সব নদ-নদীর পানি কমছে। যদি বৃষ্টি না বাড়ে তাহলে আগামী এক-দুদিনে মধ্যে পানি আরও কমবে।

উল্লেখ্য-২০০৮ সালের পর থেকে ১৬ বছরের মধ্যে এরকম দীর্ঘমেয়াদী বন্যা আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।