এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের ২৫ বছর পূর্তিতে জানাই শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০

এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের ২৫ বছর পূর্তিতে জানাই শুভেচ্ছা

লতিফ নুতন
সিলেটের মানবতার ফেরীওয়ালা এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের ২৫ বছর পূর্তিতে জানাই শুভেচ্ছা। মানবতার কল্যানে একটি সংগঠন সিলেট নগরীর মেনিখলা এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় ২৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল অদুদ যুক্তরাজ্য প্রবাসী হলেও তিনি গত ২৫ বছর ধরে জনকল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও অনলাইন পোর্টালে এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের নানা উন্নয়ন ও জনসেবার সংবাদ প্রচারিত হয়ে আসছে। আমি জানতাম না এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্টাতা আব্দুল অদুদ আমার ফুফুতো ভাই। দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি’র সাথে দেখা নেই। গত দুই মাস ধরে তার সাথে ফেইসবুকে কথা হয়। তিনি আমার ফেইসবুকে ফেন্ড। কিন্তুু আমি তাকে চিনতে পারি নাই। আব্দুল অদুদ ভাইয়ের সাথে আমার ছোট বেলার হাজারো স্মৃতি। স্মৃতিময় দিন গুলোর কথা মনে পড়ে। বয়সে বড় ভাই হলেও তিনি’র সাথে বন্ধুত্ব সূলভ আচরন হত।
জনকল্যানে বিগত এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের ২৫ বছরের মানবতার সেবার কথা শুনে আমি আশ্চার্য হয়ে যাই। গরীব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের লেখা পড়ার খরচ। বৃত্তি প্রদান,নানা ভাবে গরীব দুখী মানুষের পাঁশে দাড়ানো আব্দুল অদুদ ডাক নাম অদই ভাইয়ের নেশা। পিতার স্মৃতি রক্ষার জন্য তিনি এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্র করেছেন। প্রবাসী পরিবারের সন্তান যিনি নিজে যুক্তরাজ্যে প্রবাস জীবন পালন কালে দেশের মাঠিতে সকল ক্ষেত্রে অসহায় মানুষের পাঁশে আছেন যা বিরল দৃষ্টান্ত। অদুদ ভাইয়ের স্ত্রী রুনি অদুদ। এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের কাজে অদুদ ভাইকে নানা ভাবে প্রবাস জীবনে সহযোগিতা করে আসছেন। রুনি অদুদের অবদান এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। আত্নপ্রচার বিমুখ এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের প্রতিষ্টাতা আব্দুল অদুদ নিজের প্রচার কাজ আড়াল করে রাখেন। আমার সাথে কথা হলে বলি আপনারা ৪ভাই প্রবাসে থাকলে ফূফার নামে ট্রাষ্ট করে জনকল্যানে আপনি কোটি কোটি টাকা আপনি ব্যয় করছেন আপনার স্বার্থ কি ? তিনি বলেন আমি জনকল্যানে আত্ন নিয়োগ করে আত্ন তৃপ্তি পাই। রুনি অদুদ সর্ম্পকে আমার চাচাতো বোন। অদুদ ভাই তার চাচাতো বোন রুনি অদুদকে বিয়ে করে প্রবাসী জীবনে সাংসারিক জীবন চমৎকার। অদুদ ভাইয়ের বড় ভাই আজাদ ভাই,আহাদ ভাই,ছোট ভাই আব্দুল মওদুদ দিলনসহ তাদের বোনেরা সবাই স্নেহময়ী। হাসি উজ্জ্বল অদুদ ভাই কে এলাকার অনেকে মনে করেন তিনি ভবিষ্যতে কোন নির্বাচন করতে পারেন। আসলে তা ঠিক নয়। মূল কথা হচ্ছে এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের মাধ্যমে অদুদ ভাই তিনি সুযোগ্য পিতার উত্তরসূরী হতে চান।
বেরসিক অদুদ ভাইয়ের ছাত্র থাকালীন সময়ের কথা আমার মনে পড়ে। তিনি সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করেছেন। ফনিক্স সাইকেল নিয়ে মাদ্রাসা যাওয়া আর আসার পথে দাঙ্গা হাঙ্গামা করা অদুদ ভাইয়ের নেশা ছিল। মাদ্রাসা ছাত্র হয়েও তিনি কোন দিন মাওলানা লিখেন নাই। তিনি প্রকাশ্য রাজনীতি না করলেও ছাত্র জীবনে ৮০ দশকে তিনি বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যে প্রকাশ্য রাজনীতি না করলেও তিনি যুক্তরাজ্য মুক্তিযুদ্ধা যুবকামান্ডের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তার ছোট ভাই আব্দুল মওদুদ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের প্রতিষ্টা ২৫ বছর তম বার্ষিকীতে অদুদ ভাইয়ের কাজের জন্য তাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। অদুদ ভাইয়ের নানার বাড়ী হচ্ছে আমাদের বাড়ী সে সুবাধে তিনি ছোট বেলা আমাদের বাড়ীতে ফুফুর সাথে আসতেন। গোল্লাচুট,পুকুরে সাঁতার কাটা,গোসল করা আমার কিশোর,শিশু বয়সের কথা মনে পড়ে। রুনি অদুদ সিলেট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি মেধার সাথে পাশ করেছেন। অদুদ ভাইয়ের স্ত্রী আমার সম বয়সী। এক সাথের ক্লাস মেয়িট। শিশু ও কিশোর বয়সের অদুদ ভাইয়ের কথা মনে হলে মনে হয় সন্ত্রাস। দুষ্ট প্রকৃতির অদুদ ভাই আজ মানবতার ফেরিওয়ালা। দেশের কথা ভূলতে পারেন না। ঘন ঘন দেশে আসেন সময় পেলেই। আমার সাথে দেখা না হলেও তিনি ঘন ঘন দেশে বিচরন করেন। দেশের কথা জানার জন্য প্রতিদিন মোবাইল ফোনে কথা হলেও ভাবী রুনী অদুদ বিরক্ত হন না।
ছোট বেলা গোল্লাছুট,কপাটি খেলা,সাতাঁর কাটা,বাজারে যাওয়া স্মৃতি আঙ্গীনায় অম্নান। মনবতার কল্যানে করোনা মহামারীতে এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিন সন্তানের জনক আব্দুল অদুদ অল্প বয়সে নানা হয়েছেন। প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রে প্রতিষ্টাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল অদুদ পিতার স্মৃতিকে ধরে রাখতে জনকল্যানে নিবেদিত তাকে আবার ধন্যবাদ। আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে মুজিব আ৬দর্শের সন্তান আশ্চর্যের কথা। আব্দুল অদুদকে বলতে চাই আপনি জনকল্যান থেকে পিচ পা হবেন না। আপনার কোন উদ্দ্যেশ্য নেই আপনি মহত। আপনি মুজিব রনাঙ্গনের একজন সহযোদ্ধা। মানব কল্যানে নিজে আত্ননিয়োগ করেছেন আপনি ভাল থাকেন। এম এ মুক্তাদির ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের ২৫ বছর পূর্তি সফল হউক।
লেখক:: প্রধান সম্পাদক,দৈনিক সিলেটের দিনকাল,উপদেষ্টা সম্পাদক সিল নিউজ বিডি ডট কম,পরিচালন শ্রীহট্র মিডিয়া লিমিটেড,সাবেক সিলেট শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক,আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি’র সদস্য,কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতিমন্ডলীর সদস্য।