কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কটি যেন মরণ ফাঁদ ঃ জনদূর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০

কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কটি যেন মরণ ফাঁদ ঃ জনদূর্ভোগ চরমে

স্বপন দেব মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন কুলাউড়া-পৃথিমপাশা ও রবিরবাজার-টিলাগাঁও সড়কের সংস্কার কাজের কচ্ছপ গতিতে সীমাহীন ূর্ভোগে পরেছেন প্রায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ। সড়কুটির কাজ শুরু হয়েছিল ’১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। আর জুন ২০১৯ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। অথচ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত রাস্তা দুটির মাত্র ৪০-৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

ীর্ঘুই বছরেও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। এলাকাবাসী রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়াতে পারেননি, বাড়েনি কাজের গতিও।

সওজ বিভাগের সূত্র জানা যায়, কুলাউড়া নবীন চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় চৌমোহনা থেকে রবিরবাজার হয়ে ঝিলেরপাড় পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার আর রবিরবাজার থেকে টিলাগাঁও বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক ুটি প্রশস্ত ও সংস্কারের কাজ পায় ‘ওয়াহি কনস্ট্রাকশন’ ও ‘স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল’ নামের ুটি ঠিকাারি প্রতিষ্ঠান।

গুরুত্বপূর্ণ এই ুটি সড়ক দিয়ে উপজেলার কর্মধা, পৃথিমপাশা, টিলাগাঁও, রাউৎগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রতিনি অন্তত ৬০-৭০ হাজার মানুষ উপজেলা সদর ও জেলা সদরে যাতায়াত করেন। অথচ শুরু থেকে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার এই কাজে ঢিলেমি করতে থাকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

করোনা সংকটের কারণে গত মার্চ মাস থেকে কাজে ধীরগতি চলে আসে। স্কুল চৌমোহনা থেকে চৌধুরীবাজার পর্যন্ত রাস্তার পিচ ঢালাই কাজ শেষ হলেও চৌধুরীবাজার থেকে পৃথিমপাশা ঝিলেরপার পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে আছে প্রায় এক বছর ধরে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়ক ুটিতে বড় বড় গর্ত ও বৃষ্টির পানির কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটূর্ঘটনা। রবিরবাজার রাস্তা বেহাল অবস্থার কারণে অটোরিক্সা চালকরা যাত্রী প্রতি ১০-১৫ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। এ সড়কে চলাচলকারী মানুষদের দুর্ভোগের সাথে ভাড়াও বেশি গুণতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান রাস্তার কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করে বলেন, একদিকে করোনা পরিস্থিতিতে লোকবলের সংকট রয়েছে। অন্যদিকে এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে পাথর সরবরাহ বন্ধ থাকায় সড়কের বাকি অংশে পাথর বিছানো সম্ভব হচ্ছে না।

মৌলভীবাজার সওজ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সড়ক ুটির কাজে কিছুটা বিঘ্ন হয়েছে। এছাড়া ঠিকাারি প্রতিষ্ঠান ুটির কাজে শুরুতেই কিছু গাফিলতি করেছে। সরকার করোনা পরিস্থিতিতে চলমান কাজগুলোর মেয়া এক বছর বৃদ্ধি করেছে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলে ্রুত সড়কুটির কাজ শেষ হবে।