সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২২

সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কর্মবিরতি

অনলাইন ডক্সেঃ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে অপসারণের দাবিতে দলিল লেখকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

এতে করে দলিল নিবন্ধন করতে আসা দাতা ও গ্রহীতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে বিষয়টি জেলা রেজিষ্টার মিমাংসার আশ্বাস দিলেও দলিল লেখকরা উপজেলা সাব-রেজিষ্টারের প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দেন। তারা

জানা যায়, উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. সোহেল রানা রাজৈর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময়ে দলিল লেখকরা এর প্রতিবাদ করলেও কোনো সমাধান হয়নি। উল্টে তাদের অপসাণের হুমকি দিয়ে অনিয়মের মাত্রা বাড়িয়ে দেন সোহেল মিয়া।

লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামাদ মোল্লা জানান, দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে দলিল প্রতি লাখে এক হাজার টাকা দাবি করে সাব রেজিস্ট্রার সোহেল। এমনকি নামের একটা অক্ষর ভুল থাকলেও তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। অন্যথায় তিনি দলিল করে না। এছাড়া তিনি দুপুর ১২টায় অফিসে আসলেও বিকাল ৪টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে আটকে রেখে টাকা আদায় করার পর দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়।

এ ঘটনায় বাধা দিলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি ধামকি দেয় সোহেল।
এজন্য তার প্রত্যাহারের এক দফা দাবিতে তারা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দলিল লেখা বন্ধ করে দেন।

মাতুব্বর নামের একজন বলেন, দুই সপ্তাহ যাবত দলিল করতে এসে ফিরে যাচ্ছি। দলিল করতে না পারলে আমার খুব সমস্যা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন এ সমস্যার নিরসন করে।

কিনাই বিশ্বাস নামের একজন বলেন, ‘মোর পোলারে বিদেশ পাঠাইতে টাগা লাগব। মুই জমি বিক্রি করছি। কিন্তু দলিল না হওয়ায় টাকা পাই না। দুইদিন যাবত এখানে দলিল করতে আইসা ঘুইরা যাইতে আছি। আজও কাউরে না দেখে আমি এখানে বসে রয়েছি।’

অভিযুক্ত রাজৈর উপজেলার সাব রেজিস্টার অফিসার সোহেল রানা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা সত্য নয়। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।

মাদারীপুর জেলা রেজিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য অফিসে এসেছি। কোনোভাবেই অফিস বন্ধ রাখা যাবে না। সাধারণ জনগণ যেন কোনোভাবেই ভোগান্তির শিকার না হয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি সুরাহা হবে।

এস۔এম ۔শবিা
যুগান্তর