ঈদকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগর পুলিশের ১৬ নির্দেশনা

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

ঈদকে কেন্দ্র করে সিলেট মহানগর পুলিশের ১৬ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মহানগরীর বাসিন্দাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ১৬ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জ্যোর্তিময় সরকার (গণমাধ্যম)নির্দেশনাগুলো নিশ্চিত করেন।

পুলিশের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক, অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা গ্রহন করা। প্রতিটি পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে ব্যাংক কর্তৃক স্থাপিত বুথে জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন দ্বারা টাকা পরীক্ষা করার অনুরোধ করা। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার পাশাপাশি ক্রেতা, বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনক্রমেই মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা বা বিক্রেতা পশুর হাটের প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পশু হাটে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি শিশু, বায়োবৃদ্ধ ও অসুস্থতা নিয়ে হাটে প্রবেশ করা যাবে না।

নির্দেশনা বলা হয়, রাত্রিকালে জনবহুল রাস্তা দিয়ে চলাচল করার চেষ্টা করা। রাস্তায় চলাচলের সময় সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী বা টাকা পয়সা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন এবং মধ্য কিংবা শেষ রাতে বাসস্ট্যান্ডে নামলে সতর্কতার সাথে চলাচল করা, প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেয়া। ট্যাক্সি বা অটোরিক্সা বা ভাড়ায় চালিত অন্যান্য গাড়ি ভাড়া করার সময় গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং ড্রাইভারের নাম, ঠিকানা লিখে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে উক্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ড্রাইভারের নাম, ঠিকানা নিকটজনের নম্বরে এসএমএস করে রাখা। সীমিত সংখ্যক ক্রেতাকে হাটের ভিতর প্রবেশের সুযোগ দিয়ে অবশিষ্টদের বাহিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে হবে। অস্থায়ী পশুর হাট নির্ধারিত সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে কোনক্রমেই হাটের সীমানা সম্প্রসারণ করা যাবে না। হাটের নির্ধারিত এলাকার বাইরে গরু রাখা যাবে না এবং রাস্তার উপর গরু ও গরুর ট্রাক রেখে যানজট সৃষ্টি করা যাবে না। এক হাটের গরু জোর করে অন্য হাটে নেয়া যাবে না এবং পশুবাহী গাড়ী/ট্রাক পরিবহনে বাধা প্রদান করা যাবে না। গরুবাহী/পশুবাহী গাড়ীর সামনে ব্যানারে হাটের নাম বড়, স্পষ্ট করে লিখতে হবে।

নির্দেশনা আরও বলা হয়, প্রতিটি পশুর হাটে আলাদা পোশাকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে এবং প্রয়োজনে হাটের চারপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কোনভাবে হাসিলের টাকা বেশি নেয়া যাবে না এবং প্রতিটি পশুর হাটে নির্দিষ্ট হাসিলের হার সর্বসাধারণের অবগতির জন্য বড় ব্যানারে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। হাট ইজারাদাররা কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাগণকে মলমপার্টি, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সম্পর্কে মাইকিং ও লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা পথ রাখতে হবে। পশু হাটে প্রবেশের পূর্বে ও বের হওয়ার সময় তরল সাবান বা সাধারণ সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়। হাটে একটি পশুর সারি হতে অন্য সারির দূরত্ব অন্ততপক্ষে ১৫ ফুট রাখতে হবে। মূল্য প্রদান, হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় কমপক্ষে দুই হাত দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে হবে প্রয়োজনে রেখা টেনে বা গোল বৃত্ত তৈরী করতে হবে। ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পানি, ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশুর বর্জ্য দ্রু পরিস্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরী করা যাবেনা এবং পশুর হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী ও হাট কমিটির সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি সমূহ সার্বক্ষণিক মাইকের মাধ্যমে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে ।

নগরবাসী প্রয়োজনে, পুলিশ কমিশনার ০১৭১৩-৩৭৪৫০৬, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) ০১৭১৩-৩৭৪৫০৭, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ০১৭৬৯-৬৯১৩২৬, ডিসি (উত্তর) ০১৭১৩-৩৭৪৫০৯, ডিসি (দক্ষিণ) ০১৭১৩-৩৭৪৫১০, ডিসি (ট্রাফিক) ০১৭১৩-৩৭৪৫১১, ওসি কোতোয়ালি-০১৭১৩৩৭৪৫১৭, ওসি জালালাবাদ-০১৭১৩৩৭৪৫২২, ওসি বিমানবন্দর ০১৭১৩৩৭৪৫২১, ওসি দক্ষিণ সুরমা-০১৭১৩৩৭৪৫১৮, ওসি, শাহপরান (রহ:)০১৭১৩৩৭৪৩১০, ওসি মোগলাবাজার-০১৭১৩৩৭৪৫১৯, পুলিশ কন্ট্রোল রুম (২৪ ঘন্টা খোলা)০১৭১৩-৩৭৪৩৭৫, ০১৯৯৫-১০০১০০, ০৮২১-৭১৬৯৬৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম ০৮২১-৭১৮০২৮, ০১৯৬৬-৬০৬৬৩৬, জরুরী সেবা ৯৯৯ যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ