স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: শ্রীমঙ্গলে উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে এবার ুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাড়ি ও পুলিশের বহর ছাড়াই সন্ধ্যার পর বাইসাইকেলে চড়ে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা চষে বেরিয়েছেন। শহরের বেড় হওয়া লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করছেন কিনা এবং ব্যবসায়ীরা ােকান পাটগুলো সরকারি নির্দেশনা মতো সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে বন্ধ করছেন কিনা তা দেখতেই এই ভিন্ন রকমের অভিযানে নামলেন প্রশাসন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা আইন মেনে যথাসময়েই দোকান বন্ধ করেন। তবে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী আইন না মেনে দোকান খোলা রাখেন অনেক রাত পর্যন্ত। তাদেরকে বাগেই আনা যাচ্ছিলো না। আমরা নিয়মিত অভিযান করলেও কোনও না কোন প্রকারে অভিযানের খবর তাদের কাছে পৌঁছে যায়।
সেসব দোকানীরা ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ি দেখে তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে ূরে াড়িয়ে প্রশাসনের গতিবিধি লক্ষ্য করে আবার দোকান খোলে বসেন। তাই বেপরোয়া সেইসব আইন অমান্যকারীদের ধরতে আমাদের ব্যতিক্রমী অভিযান। একাধিক ফার্মেসীর সামনে াঁড়ানো ঔষধ ক্রেতারে মুখে নেই মাস্ক, কারও পকেটে, কার আবার থুতনিতে মাক্স ঝুলছে। ফার্মাসিস্টরাও মাস্ক ব্যবহার করছেন না নিয়ম মেনে।’
উপজেলা প্রশাসনের ুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাইসাইকেল চালিয়ে শহর ও শহরতলীর ৭ টার পরের চালচিত্র নিজচোখে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছেন। ইউএনও এবং এসি(ল্যান্ড) তিন নি ধরে আইন ভঙ্গকারী সাধারন লোকজন ও দোকানীদের চিহ্নিত করে অর্থদন্ড দিয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন।
এভাবে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহমুুর রহমান মামুন ২৫ মামলায় ১৮ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন স্বাস্থ্যবিধি লংঘনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। সেসময় আদালতের সাথে ছিলেন ইউএইচএফপিও ডা. সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ুটি পৃথক ল।
এ সম্পর্কে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে এই মুহুর্তে আমাদের লক্ষ মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করা। সেটা করতে যেয়ে আমাদেরকে যখন যা, যেভাবে করতে হয় সেটাই করার চেষ্টা করছি।’