করোনা আক্রান্তে সবাইকে ছাড়িয়ে দক্ষিণ আমেরিকা

প্রকাশিত: ১:১৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০

করোনা আক্রান্তে সবাইকে ছাড়িয়ে দক্ষিণ আমেরিকা

অনলাইন ডেস্ক :;

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সম্মিলিতভাবে যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আমেরিকা সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের টালিতে দেখা গেছে, ব্রাজিল, মেক্সিকো, পেরু, কলোম্বিয়া ও আর্জেন্টিনায় মহামারীতে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে।

বিশ্বের মোট করোনা আক্রান্তের ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশই এই অঞ্চলের। দক্ষিণ আমেরিকায় এখন ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ১৬০ জনের মতো মানুষ মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন।

যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৪৩ লাখ আট হাজার ৪৯৫ জন।

করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রই। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯২ জনে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের(সিডিসি) বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

দেশটিতে আগের দিনের দৈনিক হিসাবের তুলনায় রোববার ৬৪ হাজার ৫৮২ জন নতুন করে মহামারীতে সংক্রমিত হয়েছে।

আর মৃতের সংখ্যা ৯২৯ জন বেড়ে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৪২ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী শুরুর পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ৯৮ দিন।

আর এখন মাত্র ১৬ দিনেই সংক্রমণ ৩০ লাখ থেকে বেড়ে ৪০ লাখ হয়েছে। সংক্রমণের এই হার বলছে, প্রতি ৮২ জন মার্কিনির মধ্যে অন্তত এক জন কোনও না কোন সময় ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় এখন দুই হাজার ৬০০’রও বেশি মানুষ ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে।

মহামারী বিস্তারের শুরুর দিকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল নিউ ইয়র্কে। সেখানে পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।

বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যেই হাসপাতালগুলোতে রোগী উপচে পড়ছে। অথচ কীভাবে এ মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা যায়; তা নিয়ে ফেডারেল সরকার, অঙ্গরাজ্য, গভর্নর এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে চরম মতবিরোধ চলছে।

মাস্ক পরা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি শুরু হয়েছে। অনেক আমেরিকান মনে করেন, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য করার মাধ্যমে তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এমনটাই মনে করতেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনিও জনসমক্ষে মাস্ক পরতে বাধ্য হয়েছেন। তবে তিনি এও বলেছেন, যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না শুধু তখনই মাস্ক পরুন।