সিলেট এয়ারপোর্ট রোডে বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম, বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০

সিলেট এয়ারপোর্ট রোডে বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম, বাড়ছে দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে রাইডিং। পরিবেশের সাথে নিজেদের মনের আনন্দ বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেতে উঠতে ছুটে আসনে অনেকেই। আছে টংয়ের দোকানের চা। সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট যাওয়ার সুযোগ। ছবি তুলার স্থান চা বাগান বা রাস্তা । এমন পরিবেশে যেতে কার না ভালো লাগে । তবে এই ভালো লাগার মধ্যেও যে একটা বেদনা কাজ করে।

দুই চাক্কার বাহনে স্পিড না হলে কি চলে । এরমধ্যে যদি কেউ পিছনে থেকে সামনে চলে যায় তাহলে তো মানাই যায় না । শুরু হলো কম্পিটিশন এর ফলেই ১৫০ সিসির গাড়ি যদি ১০০তে চলে। তাহলে সামনে কেউ আসলে দুর্ঘটনা । এমন বেপরোয়া চিত্র সিলেটের এয়ারপোর্ট রোডের। সিলেটে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট রোডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মোটরসাইকেল চালকরা ।

জানা যায়, বেপরোয়া চালকদের মধ্যে বেশিরভাগ অপ্রাপ্ত বয়স্ক। যার ফলে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন সিলেট শহর এবং শহরের বাহিরে বের হলে দেখা যায় উঠতি বয়সের ছেলেরা বেপরোয়া গতিতে বিভিন্ন কোম্পানির উন্নত মডেলের মোটর সাইকেল চালিয়ে থাকেন।

এদের বেশিরভাগই ১৪-১৫ বছর হতে শুরু করে ১৭-১৮ বছর বয়সী। শহর এবং শহরের বাহিরে ওই সব চালকরা যেকোনো রাস্তায় মোটর সাইকেল বেপরোয়া গতিতে ও প্রচন্ড শব্দ করে চালিয়ে বেড়ায়। তাদের এমন বেপরোয়া গাড়ি চালনায় আতংকিত হয়ে পথ চলতে হয় ।

তবে সচেতন মহল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, অপ্রাপ্তদের হাতে গাড়ি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকরা কঠোর না হলে আরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । তাছাড়া দেখা যায় এসসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণরা এমন ভাবে গাড়ি চালায় তাদের গাড়ির শব্দ এবং দ্রুতগতির বেপরোয়া চালানো দেখে অনেকেই হতবাক না হয়ে পারছে না। অপ্রাপ্ত বয়স্ক, যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের অধিকাংশ মোটর সাইকেলই লাইন্সেস বিহীন।

গত শুক্রবার সিলেট এয়ারপোর্ট রোডে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন । এর পর থেকে অভিযানে নামে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ। গতকাল রোববার চলে এই অভিযান।

অভিযানে মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত একজনের বেশী আরোহী, চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার না করা, বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরসাইকেল চালানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো, উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী সাইলেন্সার ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ, মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাস খোলা এবং উল্টোপথে গাড়ি চালানোর অপরাধে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে এসব প্রসিকিউশন দাখিল ও যানবাহন ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়।

এব্যাপারে কথা হলে এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, সড়কে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে পুলিশ কমিশনার এবং উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এর নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সবার আগে আমরা অভিভাবকদের বলবো সচেতন হতে। কেননা অভিভাবকরা অপ্রাপ্ত ছেলেদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এই যানবাহন। অনেক সময় দেখা যায় বড় ভাইয়ের বা বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা বের হয়েছেন। কিন্তু বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হলে এর দায় কে নিবেন? তিনি সবার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন,সড়কে কেউ যাতে বাইক বা যানবাহন নিয়ে প্রতিযোগিতা না নামেন এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলেন।