“ঈদকে সামনে রেখে বেড়ে যায় ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য “

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০

“ঈদকে সামনে রেখে বেড়ে যায় ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য “

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা,গোয়াইনঘাট :;

ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, ছিনতাইকারীরা এত বেপরোয়া হয়ে পড়ে যে কোন লোহমর্ষক ঘটনা ঘটাতে তারা দ্বিধাবোধ করে না।

দুশ্চিন্তার বিষয়, বেপরোয়া ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া মানুষ তাৎকনিক পুলিশের সহায়তা পায় না। বিপরীতে আশপাশের সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে এগিয়ে আসেন।

এ অবস্থায় ঈদের ছুটিতে ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য যে আরও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।পূর্বেও ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির শিকার হয়ে মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কাজেই ঈদের সময়ে যে কোনো ধরনের ছিনতাই-চাঁদাবাজি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

ঈদের সময়টিতে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, জাল নোট চক্রের অপতৎপরতা, এমনকি রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে মানুষের বাসাবাড়ি ফাঁকা থাকার সুবাদে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটে বেশি। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্বের পরিধি বেশি হওয়ায় তাদের মাঝেও একধরনের শিথিল মনোভাব কাজ করে। এ সুযোগটিই কাজে লাগায় দুর্বৃত্তরা।

আমরা মনে করি, মানুষের উপস্থিতি কম থাকার কারণে ছিনতাইকারী, চোর-ডাকাতরা যেন উৎসাহী হতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও বেশি তৎপর হওয়া দরকার। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি কম ঘটছে বলে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই।

মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসন, সর্বোপরি সরকারের। ঈদ ও যে কোনো উৎসব সামনে রেখে ছিনতাই-চাঁদাবাজি, অজ্ঞান ও মলম পার্টি তৎপর হয়ে ওঠার ঘটনা যেহেতু প্রতি বছরই ঘটে, সেহেতু এ সময় পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মানবিক দায়িত্ববোধও বেড়ে যায়। কারণ এ সময় ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির পরিবারের ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়।

উৎসবকেন্দ্রিক ছিনতাই-চাঁদাবাজি, জাল নোট চক্রের অপতৎপরতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকা ধরে তাদের গতিবিধি অনুসরণ করা। তাহলেই উৎসবকেন্দ্রিক অপরাধের লাগাম টেনে ধরা সহজ হবে এবং সবার জন্য ঈদ উৎসব হয়ে উঠবে আরও উপভোগ্য।