আসামে প্লাজমা দিলেই সরকারি চাকরি

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২০

আসামে প্লাজমা দিলেই সরকারি চাকরি

অনলাইন ডেস্ক :

আসামে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় প্লাজমা দিলেই মিলবে সরকারি চাকরি। অগ্রাধিকার দেয়া হবে সরকারি আবাসন খাতেও।

কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার চার সপ্তাহ পর যদি কোনো ব্যক্তি প্লাজমা দান করে, তাহলে তিনি সরকারি চাকরি ও আবাসনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। চাকরির পরীক্ষা কিংবা ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নম্বরও দেয়া হতে পারে তাদের। খবর রয়টার্সের।

করোনা মহামারীর মধ্যেই বন্যায় ডুবে গেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বেশির ভাগ এলাকা। অতি প্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী ওষুধও দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি বহু করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য করোনামুক্ত রোগীদের খুঁজছে কর্তৃপক্ষ।

কখনও নৌকায় করে আবার কখনও পায়ে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। বলা যায়, রীতিমতো লালগালিচা সংবর্ধনা দিচ্ছে। এর সবই করা হচ্ছে তাদের শরীর থেকে প্লাজমা সেল নামে অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ রক্তের জন্য।

প্লাজমার জন্য এমনকি ডোনারদের রাস্তার ভ্রমণ ব্যয় ও অন্যান্য খরচও বহন করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এজন্য নিরলস কাজ করছে সরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্লাজমা খুঁজতে খুঁজতে কখনও কখনও তারা ভিন্ন রাজ্যেও চলে যাচ্ছে। এমনকি বন্যার পানি ঠেলেই পৌঁছে যাচ্ছে ডোনারের বাড়ি। তাকে নিয়ে আসছে প্লাজমা ডোনেশন সেন্টারে।

চলতি মাসেই রাজ্যের একটি হাসপাতালে এক করোনা রোগীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্লাজমার দরকার হয়। কিন্তু চারপাশে বন্যার পানি থইথই। অবশেষে ডোনারকে সঙ্গে করে

আনতে আস্ত একটি নৌকাই পাঠিয়ে দেন ডাক্তাররা। প্লাজমা চিকিৎসা নিয়ে রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত এক ডাক্তারের চিকিৎসার জন্য ‘ও’ গ্রুপের প্লাজমা খুঁজছিলাম আমরা।

একপর্যায়ে আমরা জানতে পারলাম, কেউ একজন রক্ত দিতে আগ্রহী। নৌকায় করেই তার বাড়িতে চলে গেল কয়েকজন লোক। তারাই তাকে হাসপাতালে এনে প্লাজমা সংগ্রহ সম্পন্ন করে।’ তবে ওই ডোনারের নাম-পরিচয় জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী শর্মা। শুধু জানিয়েছেন, ওই ডাক্তার দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

শর্মা জানান, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার রক্ত অন্য করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। সময়মতো চিকিৎসা না হলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, মুমূর্ষু রোগীকেও প্লাজমা থেরাপি দিলে খুব ভালো কাজ করে।’