করোনার প্রভাবে এবার যেভাবে পালিত হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২০

করোনার প্রভাবে এবার যেভাবে পালিত হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা

সিল-নিউজ-বিডি ডেস্ক :: লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে শুরু হয়ে গেল পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

আজ (৮ জিলহজ) বুধবার ভোরে হজযাত্রীদের কাফেলা মক্কা থেকে মিনায় রওয়ানা হয়ে গেছে।

সৌদির হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার হজে সৌদি নাগরিক রয়েছে ৩০ ভাগ। বাকি ৭০ ভাগই দেশটিতে অবস্থান করা অভিবাসী।

বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে দেশ-বিদেশের মাত্র ১০ হাজার হজযাত্রী নিয়ে এ বছরের হজের আয়োজন করেছে সৌদি সরকার।

যাদের শরীরে বড় ধরনের কোনো রোগ নেই এবং যাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, হজের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

হজের অনুমতি নেই এমন কেউ মিনা,মুজদালিফা ও আরাফার রাস্তায় যাতায়াত করতে পারবেন না। এমনকি হজযাত্রীরাও এসব রাস্তায় পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারবেন।

এছাড়াও করোনারোধে কাবার গিলাফ বা কাবা স্পর্শের সুযোগ থাকবে না।

অন্য দেশ থেকে আসা কেউ হজের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে এলেই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বুধবার ২৪৪ জনকে গ্রেফতার করে হজে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ।

সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজীদের সুস্থতার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে সবসময় দক্ষ মেডিকেল টিম থাকবে। মিনা,মুজদালিফা ও আরাফার সব হাসপাতাল হাজীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সৌদির হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে হাজীদেরকে মক্কার হোটেল থেকে সরাসরি মিনায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিনায় এবার তাবু থাকবে সীমিত সংখ্যক।

হজযাত্রীরা ৮ জিলহজ থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করে আগামীকাল জোহরের আগে চলে যাবেন হজের প্রধান রুকন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করার জন্য।

আরাফাতের ময়দানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে মনোযোগ দিয়ে হজের খুতবা শুনবেন। সেই সঙ্গে জোহর এবং আসরের নামাজ নির্ধারিত সময়ে নিজেদের তাবুতে একাকী আদায় করবেন।

সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করবেন।

মুজদালিফায় সারারাত খোলা আকাশের নিচে মরুভূমির বালুর ওপরে অবস্থান করবেন এবং সেখানেই ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগে কিছুক্ষণ অবস্থান করে জামারাতে নিক্ষেপ করার জন্য পাথর সংগ্রহ করে ফের চলে যাবেন মিনায়।

১০ জিলহজ মুজদালিফা থেকে মিনায় এসেই বড় জামরাতে ৭টি পাথর নিক্ষেপ করবেন এবং এ কাজ জোহরের আগেই সম্পন্ন করবেন।

বড় জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করে কোরবানির কাজও সম্পন্ন করবেন হজযাত্রীরা। সেই সঙ্গে নিজেদের মাথা মুণ্ডন করে ইহরামের কাপড় থেকে হালাল হবেন।

১১,১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে যিয়ারতের কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এ দু’দিন মিনায় অবস্থান করে ছোট, মধ্যম ও বড় জামারায় সাতটি করে মোট ২১ টি পাথর নিক্ষেপ করে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করবেন। এরপরে বিদায়ী তাওয়াফের মাধ্যমে হজের কাজ সম্পন্ন করবেন হজযাত্রীরা।

আরব নিউজ অবলম্বনে- মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ