সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরামের সভা রমজানে দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার আহবান

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২২

সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরামের সভা রমজানে দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার আহবান

সিলনিউজ বিডি ডেস্ক :: সিলেটের উন্নয়নমূলক সংগঠন সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিশেষ সভা গতকাল ২ এপ্রিল শনিবার দুপুরে নগরীর সুরমা ম্যানশন ৩য় তলাস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এডভোকেটের সভাপতিত্বে সভায় বক্তাগণ বিভিন্ন বিষয়দি নিয়ে আলোচনা করেন।

পবিত্র রমজান মাসে সিলেট বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে ৫০ হাজার করে ভিজিএফ কার্ড দিয়ে অসহায় দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের খাদ্য দ্রব্য সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা, ইফতার, সেহেরী ও তারবিহ নামাজের সময় বিভাগের সর্বত্র নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং সকল পৌর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, খাদ্য ও ইফতারির মান নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কঠোর তদারকী ও তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য সভা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়।

সিলেট বিভাগের সনাতন ধর্মাবলম্বিদের পুণ্যস্নানের নির্ধারিত স্থান সমূহ যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্যের ধারক বাহক, দেশি-বিদেশী পর্যটক ও সনাতন ধর্মাবলম্বি পুণ্যার্থীদের আকর্ষণীয় স্থান হলেও সময়ের বিবর্তন এবং যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সিলেট বিভাগের এই ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির দ্বার প্রান্তে।
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর তীরবর্তী পুন্যস্নানের স্থান, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার মাধবকুন্ড, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার লাখাই নদী, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর, সিলেট সদর উপজেলার সুরমা নদীর তীরবর্তী কালীঘাট সহ উল্লেখিত স্থান সমূহের নদী ও জলাশয় সমূহ খনন না করায় ভরাট হয়ে পুণ্যস্নানের প্রায় অনুপযোগী এবং পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম কোন অবকাঠামো গত সুযোগ সুবিধা কিংবা যাতায়াতেরও কোন সুব্যবস্থা নেই।

উল্লেখিত স্থান সমূহকে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান ঘোষণা করতঃ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, পুণ্যার্থীদের প্রার্থনা, পর্যটকদের যাতায়াত ও ব্যবহারের সুবির্ধার্থে সিলেট বিভাগের পুণ্যস্নানের সকল স্থানে ঘাট নির্মাণ, নদী/ জলাশয় খনন করে স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবহারের উপযোগী, পানি ধারণ ও সংরক্ষণের সুব্যবস্থা, যাতায়াতের রাস্তাসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা মেরামত, সংস্কার ও উন্নয়ন সম্প্রসারণ করে পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের ব্যবহারের সুবার্ধিার্থে পুণ্যস্নানের স্থানে মেলার মাঠ নির্মাণ, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার, অতিথিশালা, পান্থশালা নির্মাণের দাবী জানানো হয়।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বদরুল আহমদ চৌধুরী এডভোকেট, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমদ, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলম মর্তুজা, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি দেওয়ান মসুদ রাজা চৌধুরী, মহানগর শাখার সভাপতি শামীম হাসান চৌধুরী এডভোকেট, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মানিক মিয়া, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হেসেন জিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য শিক্ষক আব্দুল মালিক, সাবেক মেম্বার ইর্শাদ আলী, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, কয়েছ আহমদ সাগর, আমীন তাহমীদ, শরীফুল হুদা চৌধুরী এডভোকেট, ওয়াহিদুর রহমান এডভোকেট, মলয় চক্রবর্তী এডভোকেট, নেপাল চন্দ্র চন্দ এডভোকেট, এম.এ জলিল, শওকত আলী প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ