মিঠু দাস জয়সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ইসলাম আলীর মামলা

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২২

মিঠু দাস জয়সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ইসলাম আলীর মামলা

সিলনিউজ বিডি ডেস্ক :: কথিত সাংবাদিক মিঠু দাস জয় ওরফে মিন্টু সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দৈনিক সোনালী কন্ঠের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, ২১শে সিলেট এর প্রধান সম্পাদক ও সিলেট সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ইসলাম আলী বুধবার (৬ এপ্রিল) সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। মিঠু দাস জয় ওরফে মিন্টু দাস সিলেট নগরীর পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলকার ২১নং বাসার অরবিন্দু দাসের পুত্র। তার মূল বাড়ি গোলাপগঞ্জ থানা সুপাটেক গ্রাম। মামলার অপর আসামীরা হচ্ছে শাহপরান থানাধীন টিলাগড় মিরাপাড়ার আব্দুল হামিদের পুত্র আব্দুল মুহিত উরফে আব্দুল মহিত এবং সিলেট নগরের সোনারপাড়ার মুত মকদ্দস আলীর পুত্র মুস্তফা কামাল ফরহাদ ওরফে চাচা ফরহাদ।

মামলায় অভিযোগ করা হয় উল্লেখিত আসামীগণ দাঙ্গাবাজ, চাঁদাবাজ ও পরধনলোভী প্রকৃতির লোক। সিলেট নগরীর রংমহল টাওয়ারের পূর্ব পার্শ্বে একটি টং দোকানের মালিক হচ্ছেন আহমদ আলী। আহমদ আলী সংবাদিক ইসলাম আলীর আত্মীয়। আসামী মিঠু দাস জয় সহ অন্যান্য আসামীরা প্রায়ই আহমদ আলীর কাছে চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। প্রতি সপ্তাহে ৭শত টাকা করে ও দৈনিক পাঁচটি ডাব চাঁদা হিসেবে আহমদ আলীর কাছ থেকে আদায় করতেন তারা। চাঁদা দিতে অপারগ হয়ে বিষয়টি সাংবাদিক ইসলাম আলীকে অবহিত করেন আহমদ আলী। ইসলাম আলী এ বিষয়ে আসামী মিঠু দাস জয়কে জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ পর্যায়ে মিঠু দাস জয় তার সহযোগী আব্দুল মুহিত, মুস্তফা ফরহাদ সহ কয়েকজনকে নিয়ে ইসলাম আলীকে টং দোকানের সামন থেকে জোরপূর্বক তুলে রংমহল টাওয়ারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নিয়ে যায়। এসময় বিবাদীরা সাংবাদিক ইসলাম আলীর কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়। উপরন্তু বিবাদীরা সাংবাদিক ইসলাম আলীকে হাতুড়ি, লোহার রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে গুরুতর রক্তাত্ব জখম করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক ইসলাম আলী সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় একখানা এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু আসামীগণ প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। উপরন্তু একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে ইসলাম আলীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে সাংবাদিক ইসলাম আলী বুধবার (৬ এপ্রিল) সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ