সিলেট ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২২
সিলনিউজ বিডি ডেস্ক :: করোনাকালে ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়েছে। ‘অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস ভালনারাবিলিটিজ অ্যান্ড ট্রানজিশান ইন দ্য কনটেক্সট অফ কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, ৩৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মহামারির আগে ৩-৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। মহামারির সময়ে কিশোর-কিশোরীদের এই হার ১৪ শতাংশে নেমে গেছে। অন্তত ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ ঝরে পড়া কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, তারা পড়াশোনার খরচই আর চালাতে পারছে না। করোনার আগে ও পরে ৭.৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছেলে ১২ শতাংশ ও মেয়ে ৫ শতাংশ।
দেশের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের তিন জেলা গাইবান্ধা (চরম দারিদ্র্যতার ভিত্তিতে), কুমিল্লা (অধিক পরিমাণে প্রবাসীর ভিত্তিতে) ও নড়াইলের (অধিক পরিমাণে বাল্য বিবাহের ভিত্তিতে) ২৬টি উপজেলার ২ হাজার ৭৫৮টি পরিবারের ৩ হাজার ১৩৯ জন কিশোর-কিশোরীর সাক্ষাৎকারভিত্তিক জরিপ করা হয়। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং জিআইজেডের রুল অব ল প্রোগ্রাম যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশান অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড) এবং ইউকে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) সহায়তায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনার কারণে শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, মনো-সামাজিক টানাপোড়ন, সহিংসতার ঝুঁকি বৃদ্ধি, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ- এমন বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে কিশোর-কিশোরীদের। কোভিডের সময়ে শিক্ষার ব্যাপারে অভিভাবক ও কিশোর-কিশোরীদের নেয়া সিদ্ধান্ত তাদের ভবিষ্যতের পথকে প্রভাবিত করবে। শুধু তাই নয়, তাদের জীবিকা ও প্রজনন স্বাস্থ্যও এর দ্বারা প্রভাবিত।
মহামারির আগে ও পরে বাল্যবিবাহের হারে সামান্য ব্যবধান হয়েছে বলেও গবেষণায় তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় অংশ নেয়া প্রায় ৫০ শতাংশ মা-বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে কোভিড-১৯’র প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ছিল।
সমীক্ষা অনুসারে, বাল্যবিবাহ এবং স্কুল ছেড়ে দেয়ার পেছনে দারিদ্র্যের চেয়ে নিরাপত্তা এবং পারিবারিক সম্মান হারানোর ঝুঁকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্কুল বন্ধের প্রেক্ষাপটে ছেলেদের কাজে পাঠাতে অভিভাবকরা সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিবেচনা এবং কেবল দারিদ্র্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, বিশেষ অতিথি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (মতামত) উম্মে কুলসুম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন, বৃটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সীমা মুসলেম, জার্মান দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের উপপ্রধান ক্যারেন ব্লুম, জিআইজেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. অ্যাঙ্গেলিকা ফ্লেডারমান প্রমুখ।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনের পর উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। সেখানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী) এম এম মাহমুদুল্লাহ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, ব্র্যাকের সাবেক পরিচালক (শিক্ষা) ড. শফিকুল ইসলাম ও ক্ল্যারিসা কান্ট্রি টেরে দেস হোমসের (টিডিএইচ) কো-অর্ডিনেটর ড. জিনিয়া আফরোজ প্রমুখ অংশ নেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি