আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বোমা হামলার ছক!

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০

আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বোমা হামলার ছক!

অনলাইন ডেস্ক :

আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঈদুল আজহার আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করেছিল নব্য জেএমবি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৪ জুলাই ঢাকার পল্টনে পুলিশ চেকপোস্টের পাশে এবং ৩১ জুলাই নওগাঁর সাপাহারে একটি মন্দিরে বোমা হামলা করা হয়। সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার শরিফেও হামলার পরিকল্পনা করে হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের কড়া নজরদারিতে তা ব্যর্থ হয়।

জঙ্গিদের ধরতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি) অভিযান চালায়। ‘অপারেশন এলিগ্যান্ট বাইট’ চালিয়ে সিটিটিসি সিলেট নগরীর মিরাবাজার, টুকের বাজার, দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে।

বুধবার ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিলেটে সিটিটিসির অভিযান ও জঙ্গিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

দুপুর ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা পল্টন ও সাপাহারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। কিন্তু পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে তারা ব্যর্থ হয়। সিলেটে সিটিটিসির অভিযানে শেখ সুলতান মোহাম্মদ নাইমুজ্জামান (২৬), সানাউল ইসলাম সাদি (২৮), রুবেল আহমেদ (২৮), আবদুর রহিম জুয়েল (৩০) ও সায়েম মির্জাকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।

মনিরুল ইসলাম জানান, নব্য জেএমবির শূরা সদস্য শেখ সুলতান মোহাম্মদ নাইমুজ্জামানের নেতৃত্বে জঙ্গিরা সিলেটের শাপলাবাগের একটি বাসায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আড়ালে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। কফি শপে (বারিস্তা) নাইমুজ্জামান কপি মেকার হিসেবে কাজ করে। সামরিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে শাপলাবাগের বাসাটি তারা ভাড়া নেয়।

মনিরুল বলেন, নব্য জেএমবির এই দলের আরও কয়েকজন সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জঙ্গিদের এখন বড় হামলা করার সামর্থ্য নেই।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সাংগঠনিক দিক থেকে জেএমবির ওই হামলাটি ছিল সফল। কিন্তু বর্তমানে তাদের সেই সাংগঠনিক কাঠামো নেই। পুরনো জেএমবির নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন ভারতে লুকিয়ে থাকতে পারে বলেও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান।