সিলেট ২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২০
অনলাইন ডেস্ক :: বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্ত উত্তপ্ত। চীন ও ভারতের মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনায় বেশ কয়েকজন সৈন্য হতাহত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের আশঙ্কায় সহিংসতা বৃদ্ধি চায় না বাংলাদেশ। এ কারণে অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমনের জন্যে বাংলাদেশ তার বড় দুই প্রতিবেশির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার যুগান্তরকে বলেছেন, ‘ভারত ও চীন উভয়ে বাংলাদেশের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই জন্যে আমরা এই দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। আমরা আশা করি, দুই দেশ আলাপ-আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধান করুক’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের এ অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, ‘উন্নয়নের জন্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। সব সমস্যার সমাধান আলোচনা করে করতে হবে। উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে’।
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী যুগান্তরকে বলেন, ‘চীনের সৈন্যরা লাদাখে একটা তাঁবু নির্মাণ করে বসে পড়েছে। তারা টহল দেয়ার বাহানা করে বসে পড়েছে। ওই সময় আমাদের নিরস্ত্র সৈন্যরা তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে তারা ফিরে না গিয়ে উস্কানিমূলক আচরণ করে। প্রথমে আমাদের ছেলেরা মার খেয়েছে। সেখানে আমাদের একজন সৈন্য আহত হলে ছেলেরা ক্ষেপে যায়। চীনের একটা উদ্দেশ্য হল, সেখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করে থাকা। কিন্তু উভয় দেশের আলোচনায় সিদ্ধান্ত ছিল কেউই সেখানে থাকবে না’।
তিনি জানান, উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে কথা হয়েছে।
পিনাক দাবি করেন, সেখানে ২৩ জন ভারতীয় সৈন্য এবং ৫০ জন চীনের সৈন্য মারা গেছেন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চীন তাদের আচরণ পরিবর্তন না করলে ভারতের সৈন্যও মোতায়েন জোরদার আছে। ভারতের সব প্রস্তুতি আছে।
তিনি মনে করেন, চীনের সৈন্যরা ফিরে গেলে উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে। সেখানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা যায় না।
চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ ওই অঞ্চলে চীন ও ভারত স্থিতাবস্থা বজায় রেখে চলে। সেখানে এক ধরনের আনঅফিসিয়াল লাইন অব কন্ট্রোল রয়েছে। সেটা উভয় দেশ মেনে চলে। ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম সেখানে উত্তেজনা দেখা দিল। ভারত সেখানে একটা সড়ক নির্মাণ করতে চেয়েছিল। সেটাই উত্তেজনা সৃষ্টির জন্যে প্ররোচিত করেছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমনের কারণে চীন ও ভারত উভয় দেশের অর্থনীতি মারাত্মক চাপে পড়েছে। ফলে আমার মনে হয়, ভারত ও চীন কেউই সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চাইবে না। চীন ইতিমধ্যে উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাবে বলেছে। উভয়ে উত্তেজনা প্রশমনের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করি’।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি