ভুয়া মেমো তৈরী করে দেড়লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত কানাইঘাট হাসপাতালে নানা অনিয়ম দুর্নীতি (পর্ব-১)

প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০

ভুয়া মেমো তৈরী করে দেড়লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত কানাইঘাট হাসপাতালে নানা অনিয়ম দুর্নীতি (পর্ব-১)

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে প্রায় কোটি টাকার বিল উত্তোলনে নানা অনিয়ম দুর্নীতির খবর ধীরে ধীরে বেড়িয়ে আসছে। এর মধ্যে করোনাকালীন সময়ে সার্বক্ষনিক হাসপাতালে ৭ জনের থাকা-খাওয়ার বিল কানাইঘাট মধ্য বাজারস্থ নাঈম এন্ড ফাহিম রেষ্টুরেন্টের মেমো’তে দেখানো হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫ শত টাকা। অথচ সরকারী ঘোষণা মতে ঐ করোনাকালীন সময়ে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ ছিল। যার কারনে রেস্টুরেন্টের মালিক আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে তার রেষ্টুরেন্টের নাম ভাঙ্গিয়ে সীল, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া মেমো তৈরী করায় দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের খবর জন সম্মূখে বেড়িয়ে আসায় কানাইঘাটের সর্বত্র তোড়পাড় শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার ভুয়া মেমো’র কপিতে দেখা যায় মোমো’র বাকি সীল স্বাক্ষরের কলামে হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ শেখ শরফ উদ্দিন নাহিদ ও অফিস সহায়ক শামীম আহমদের স্বাক্ষর রয়েছে এবং মেমো’র নিচে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের কলামে ম্যানেজারের যে স্বাক্ষরটি করা হয়েছে সে আব্দুল রেষ্টুরেন্টের মালিক আব্দুল মান্নানের শিশু পুত্র নাঈম। এমনকি তার স্বাক্ষরের নিচে একটি বন্ধ থাকা মোবাইল নাম্বারও বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সবাইকে হতবাক করে দেওয়ার মত জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি প্রতি দিনই ৭ জনের ৩৫’শ টাকা করে একই বিল একই খাবার ধরায় জনমনে নানা কৌতুহল দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছে হাসপাতালের হুকুম নড়লে যেন খাবার নড়ে না। এ দিকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বিল ভাউচারে দুর্নীতির বড় বড় ঘটনা বেরিয়ে আসছে। এরমধ্যে হাসপাতালের কিছু আয়া ও ঝাড়–দারের নামে বিল উত্তোলন করা হয়েছে যাদের নাম ঠিকানা সরেজমিনে নেই। এমনকি অনেক বিল্ডিং পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হলেও ভাড়াটিয়ারা আছেন ঠিকমত। সেই ভাড়া যায় কার পকেটে, ইত্যাদি অনুসন্ধানে প্রায় কোটি টাকার র্দুনীতির ফিরিস্তি বেরিয়ে আসছে, যে ফিরিস্তি যেন বালিশ কান্ডের মত যেন না হয় এমন প্রত্যাশা কানাইঘাটবাসীর………….পরবর্তী পর্বে।