নতুন কৌশলে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলো কি সফল হবে?

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০

নতুন কৌশলে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলো কি সফল হবে?

অনলাইন ডেস্ক :

করোনাকালে ভারতসহ বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলো চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যাত্রী চাহিদা বাড়াতে তারা নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। নানা কৌশলে যাত্রীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করছে। চরম পতন ঠেকাতেই মূলত এই ব্যবস্থা নিচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো।

ভারতের সবচেয়ে বড় বিমানসংস্থা ইন্ডিগো সম্প্রতি প্রতি মিলিয়ন যাত্রীর ক্ষেত্রে দুটি রাউন্ড ট্রিপ ফ্রি ফ্লাইট ঘোষণা করেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন্স হিসেবে তারা এই সুবিধা দিচ্ছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক পক্ষকালে ৫০ গন্তব্যে এক মিলিয়ন যাত্রী বহন করছে তারা। তাদের দাবি, প্রতিদিন ৫০০ স্থান থেকে তারা ৭০ হাজার যাত্রীর বুকিং পাচ্ছে।

কোম্পানির চিফ কমার্সিয়াল আফিসার উইলিয়াম বোল্টার জানিয়েছেন, যাত্রীদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে আমরা ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। কঠোর পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করেছি। লকডাউন পরবর্তী সময়ে ইতোমধ্যে প্রায় তিন মিলিয়ন যাত্রী তারা বুকিং পেয়েছে।

সাবেক সামরিক বিমানচালক ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ বিপুল স্যাক্সেনা বলছেন, ইন্ডিগো যে অফারটি দিচ্ছে তা মূলত যাত্রী আকর্ষণের জন্য, যেটি নির্দিষ্ট সুবিধার আওতাভুক্ত। সেক্ষেত্রে ভাড়া কমালে মূলত যাত্রীরা বিমানভ্রমণে উৎসাহী হবে।

এ ধরনের অফার এই প্রথমবারের মতো নয়। এর আগে জুলাই মাসে গোএয়ার, ইন্ডিগো এবং ভিস্তারা এ ধরনের অফার দিয়েছিল। যাত্রীদের বুকিং বাড়াতে এয়ারলাইন্সগুলো এসব অফার দিয়ে থাকে। যাতে যাত্রীদের মধ্যে বিমানভ্রমণের ব্যাপারে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।

গো-এয়ার যাত্রীদের সুবিধার জন্য একটি অনলাইন আবেদন ফরমও চালু করেছে যেটি পূরণ করলে করোনাকালে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যাবে। এছাড়া ভ্রমণকালে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শও দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। গত আগস্টে স্পাইসজেট পাঁচদিনের বুকিং ভিত্তিতে একটি ওয়ানওয়ে টিকিট অফর দিয়েছিল যার দাম ৮৯৯ রুপি। অবশ্য ডিরক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) তাদের এসব অফার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। করোনায় লকডাউনের পর ভারতে ২৫ মে থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। কোম্পানিগুলো ৬০ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রির জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) পরিচালিত জুন মাসের একটি জরিপে দেখা গেছে, এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে শ্রম দিচ্ছে প্রচুর। যাত্রী সংকটই এখন প্রধান সমস্যা।

জরিপে অংশ নেয়া ৬০ শতাংশ যাত্রী বলছেন, তারা আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমান ভ্রমণ করতে চান না। ৫০ শতাংশের বেশি ভ্রমণকারী বলছেন, তারা ছয় মাসের মধ্যে বিমানভ্রমণ করতে ইচ্ছুক নয়। ৯৫ শতাংশ ভ্রমণকারী জানায়, তারা আগামী একবছরের মধ্যে বিমানভ্রমণ করবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন যাত্রীদের আরও বেকায়দায় ফেলেছে। তাই নতুন এ কৌশলে এয়ারলাইন্সগুলো কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে।