সিল নিউজ বিডি : সতীনের হাতে নির্যাতনে অপর সতীনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা সইতে না পেরে একই দিনে মারা গেছেন দুই সতীনের শ্বাশুড়ী মুকিরুন্নেছা। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটে সিলেট সদর এসএমপির জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজারের ফকিরের গাঁও এলাকায়। জানাগেছে, ফকিরের গাঁও এলাকার কাঁচা মিয়ার দুইজন স্ত্রী। বড় স্ত্রীর নাম রাহেলা বেগম রমলা (৪২) এবং ছোটো স্ত্রীর নাম জাহেদা বেগম (৩৮)। সতিনের সংসার হবার পর থেকে দু’জনের মধ্যে সারাক্ষণই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এদিকে, ১৫ জুন ছোট বউ জাহেদা বেগমের ডাকে মেয়ে সঞ্চার মিয়ার স্ত্রী মারজানা বেগম (২০) তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। মঙ্গলবার রাত থেকেই যথারীতি মানষিক নির্যাতন চালায় রাহেলা বেগম রমলার উপর। এক পর্যায়ে ১৭ জুন বুধবার সকালে রমলা বেগম নাস্তা নিয়ে শ্বাশুড়ীকে দিতে গেলে ২য় স্ত্রী জাহেদা তাকে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তার মেয়ে মারজানাকে নিয়ে তার উপরর হামলা করেন। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে খাট দিয়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে রমলা মাটিতে লুটে পড়েন। কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। নির্যাতনের খবর পেয়ে সকালেই রমলার ভাইপো ওবায়দুল্লাহ ইসহাক ফকিরের গাও গিয়ে ফুফু রাহেলা বেগমের মৃত লাশ দেখতে পায়। এ সময় স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে তারা ঘটনাস্থলে পৌছেন। শিবের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জুবের খান ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন ) নিহতের লাশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেলের মর্গে প্রেরণ করেন। এদিকে, রাহেলা বেগম রমলার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পর বৃদ্ধা শ্বাশুড়ী মুকিরুন্নেছাও বিকেলের দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহতের ভাইপো ইসহাক মৃত্যুর জন্য রমলার সতীন এবং মেয়েকে দায়ী করে বলেন, লাশের ময়না তদন্ত শেষে যথারীতি তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। জালালাবাদ থানার ওসি অখিল উদ্দিন মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশের সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাইপো ওবায়দুল্লাহ ইসহাক। তিনি জানান,লাশ ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।