গোয়াইনঘাটে কমছে বন্যার পানি, তবুও শঙ্কায় কৃষকরা

প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

গোয়াইনঘাটে কমছে বন্যার পানি, তবুও শঙ্কায় কৃষকরা

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি ::
গত ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয় গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, ডেউবাড়ী, লেঙ্গুরা, রুস্তুুমপুর, তোয়াকুল ও নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে তলিয়ে যায় সাধারণ কৃষকের সদ্য রূপত রোপা ও বোনা আমন সহ রবিশস্য। গত দুইদিন যাবত আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেও গত তিনদিনে গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যার পানি কমছে ধীরগতিতে। সাধারণ কৃষকরা ফসল নিয়ে আছেন শঙ্কায়। কৃষকরা মনের হতাশা আর শঙ্কায় দূর করতে সকাল-বিকাল ক্ষেতের মাঠে ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণে পরিদর্শন করছেন। সরেজমিন গিয়ে এবং বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে পুর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, ডেউবাড়ি, লেংড়ুয়া, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের গ্রামীন ছোট বড় ও নীচু কাঁচা এবং পাকা প্রায় রাস্তাঘাট পানির কবল থেকে উদ্ধার হলেও নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি এখন পর্যন্ত তলিয়ে আছে। লেংড়ুয়া ও রুস্তুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আহমেদ ও শাহাবুদ্দিন শিহাব মুঠোফোনে জানান উনাদের ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি এখন পর্যন্ত তলিয়ে আছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও বোঝা যাচ্ছে না তবে বেশিরভাগ ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষক জমির উদ্দিন, এনামুল, জহির উদ্দিন,জালাল, আলাউদ্দিন সহ আরো অনেকে বলেন এই বছর আমরা করোণা ও বন্যায় এমনিতে আর্থিকভাবে ও চারা সঙ্কট ছিলাম, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ধার করজ করে ক্ষেতের মাঠে ফসল বুনেছি। বর্তমান বন্যায় ক্ষতি হলে দ্বিতীয় বার চারা রোপন করার মতো কোনো ব্যবস্থা আমাদের নেই।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আলী বলেন বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, যতটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল আশা করি ততটা হবে না, আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছি।