প্রসঙ্গ রাজনীতিতে কর্মির মূল্যায়ন

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

প্রসঙ্গ রাজনীতিতে কর্মির মূল্যায়ন

শামছুল ইসলাম মিলন :: একজন রাজনৈতিক কর্মি তার কর্ম ত্যাগ তিতিক্ষার গুনে সংগঠনে মূল্যায়িত হয়।সংগঠন ব্যক্তি কে যে কত উচ্চতায় নিতে পারে তা নিরুপন করা কঠিন কাজ।কর্মির নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে কাজ করা সেটাও অনেক প্রখর অনুশীলনের বিষয়।রাজনীতি নিয়ে যারা প্রচুর জ্ঞান রাখেন তারা হয়তো নেতা এবং কর্মির অবস্হান ও ভূমিকা সম্পর্কে বিষদ বিশ্লেষন দিতে পারবেন । একজন সাধারন রাজনৈতিক কর্মি হিসেবে সবসময় সংগঠন এবং নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে সবসময় কাজ করতে চেয়েছি এখনও করছি।একজন কর্মি হিসেবে আমার অবস্হান থেকে নিজের মূল্যায়ন আশা করতেই পারি।মাঠ কর্মি হিসেবে নিজেকে কতখানি কাজে লাগাতে পেরেছি জানিনা তবে এটা বলতে পারি বিগত দুই যোগ ধরে সিলেটে আওয়ামীলীগ রাজনীতির মাঠের আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারির কর্মি হিসেবে রাজপথে ছিলাম সেটা সাক্ষী হিসেবে ধরে নিবো গনমাধ্যমকেই।
সিলেটে আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে যারা নেতৃত্ব পর্যায়ে আছেন তাদের হাতেইতো আমরা আমার মতো কর্মীরা তৈরী হয়েছি ।বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যেমন ছিলাম আগামীতে যে আর আন্দোলন সংগ্রাম আসবেনা সেটা তো বলা যায়না।এই তো সেদিন বিএনপি/জামায়াত বিরুধী আন্দোলনে রাজপথ/রেলপথ অবরুদ,মানববন্দন,হরতাল,পিকেটিং,মিটিং মিছিল কোনো
জায়গায় অনুপস্হিত ছিলামনা । খালেদা/নিজামীর পর আসল ১/১১ ফখর উদ্দিন/মঈন উদ্দিন এর সময় সেসময় আজকের নেতৃবৃন্দের সাথে থেকেছি জেলখানা পর্য্যন্ত।আজকের জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক Nasir Uddin Khan
এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক Shofiqur Rahman Chowdhury আমরা একসাথে জেলখানায় ছিলাম প্রায় ছয় মাস।আন্দোলন সংগ্রামে সুদিন দূর্দিনে নেতা কর্মিদের কে সমান্তরাল আবহে চলতে হয় এখানেই মেলবন্ধন । দূর্দিনের কর্মিদের শেখ হাসিনা কখনও অবমূল্যায়ন করেননি ।কর্মি হিসাবে পেয়েছি অনেক কিছু শেখ হাসিনা চার বারের প্রধান মন্ত্রী টানা তিনবার সেটাই তো বড় পাওয়া এর মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার,রায় কার্য্যকর করা সাধারণ কর্মির কাছে সেটা অনেক বড়।
কৈশোর আর যৌবনের সন্ধিক্ষনে মুক্তিযুদ্ধের জয় গান জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়েছি ছাত্রলীগের মাধ্যমে সেখানে সীকৃতি পেয়েছিলাম আজকের আওয়ামীলীগের সিলেটের এবং জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব Shafiul Alam Chowdhury Nadel
এবং Nasir Uddin Khan এর কাছ থেকে তারাইতো মাঠের কর্মিদের খবর ভাল রাখেন ।
সিলেটে এই সময়ের নেতৃত্ব যেখানে রয়েছে আশা করি হাইব্রীড লীগের সৃষ্টি হবেনা।যারা সেই দিন হরতাল,অবরুদে রাজপথে/রেলপথে সমস্ত দিন কাটিয়ে ছিল একটি সিংগাড়া কিংবা এক প্যাকেট কিচুড়ী খেয়ে আশাকরি তাদেরকে ভুলবেননা আপনারা।পরিশেষে বলব দূর্দিনের নেতা এবং কর্মিদের জয় হোক-জয় বাংলা।