সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের

অনলাইন ডেস্ক :: আর্থিক ও যাত্রী সংকটে সিলেট, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, নবীগঞ্জ, বালাগঞ্জ, খাদিমপুর, সুলতানপুর সড়কের বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে তারা তাদের এই ক্ষতি ও সংকটের করুণ চিত্র তুলে ধরেন।

স্মারকলিপিতে তারা ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে সড়কের উপর দিয়ে সিএনজি, অটোরিক্সা ও ত্রিহুলার গাড়িগুলোর বেআইনী চলাচল ও অবাঁধ যাত্রী বহনকে দায়ী করেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, এসব সড়কে তাদের দেড় শতাধিক বাস-মিনিবাস যাত্রী বহন করে আসছে। সুদুর পাকিস্তান আমল থেকে তারা নিয়মিত যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে। বিগত ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সরকারের সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী হাইওয়ে মহাসড়কের উপর দিয়ে সিএনজি ফোরস্টোক ও ত্রিহুলার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পুলিশ কিছুদিন এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নিলে হাইওয়ে রোডে সিএনজি, ত্রিহুলার চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাসগুলো নির্বিঘ্নে যাত্রীসেবা দিয়ে লাভবান হতে থাকে। সড়ক দুর্ঘটনাও হ্রাস পায়। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সুযোগে সিলেট বিভাগের সকল সিএনজি অটোরিক্সা ও ত্রিহুলার এসে জড়ো হয়ে যায় হাইওয়ে রোডে। সিলেট হুমায়ুন রশীদ চত্তর থেকে শুরু করে হাইওয়ে রোডের বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলে বহু অবৈধ স্ট্যান্ড। হাইওয়ে রোডের উপর দিয়ে শুরু করে অবাঁধে যাত্রী বহন। গত জুন মাস থেকে বাস-মিনিবাস চলাচল শুরু করলে সিএনজি-ত্রিহুলারের কারণে চরম যাত্রী সংকটে পড়ে বাস-মিনিবাসগুলো। এতে করে একদিকে চরম আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ে বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ।

অপরদিকে ঘনঘন সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানী ঘটছে। বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক এম এ কাইয়ুমের স্বাক্ষরে দেওয়া এই স্মারকলিপিতে অবিলম্বে সিলেট-ঢাকা হাইওয়ে সড়কে পূর্বের ন্যায় সিএনজি-ত্রিহুলার চলাচল বন্ধ ও এ গুলোর অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও বিআরটিএ সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহলে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক শাখাগুলো স্মারকলিপি ও অনুলিপি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।