কানাইঘাট থানায় নৌ-শ্রমিকের অবস্থান নদীতে নয়, জেলে গেলে ভাত পাওয়া যায়

প্রকাশিত: ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

কানাইঘাট থানায় নৌ-শ্রমিকের অবস্থান নদীতে নয়, জেলে গেলে ভাত পাওয়া যায়

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
নদীর মাঝে নৌকায় থাকার চেয়ে জেলে গেলে ভাত পাওয়া যাবে। জেল খানার দরজা খুলে আমাদের সেখানে আটক করেন। আমরা আর পারছি না। অনাহারে র্নিঘুম রাত্র জেগে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা বাচঁতে চাই…..। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় কানাইঘাট থানায় নৌ-শ্রমিকদের অবস্থান কালে তারা এভাবে থানা পুলিশকে মনের আকুতি জানিয়েছেন। এ সময় পুলিশ তাদের বার বার শান্ত করে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে যাওয়ার আহবান করলেও তারা অবস্থান থেকে সরে দাড়ায়নি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপক্ষো করে তারা তাদের কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে। জানা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাথর ভর্তি জাহাজ ও বলগেট কানাইঘাটে সুরমা নদীতে দীর্ঘ দু-মাস ধরে আটকা পড়েছে। আইনী জটিলতার কারনে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর পাথর পরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছে। একদিকে প্রশাসনিক বাধাঁয় পাথর নিয়ে যেতে পারছে না, অন্যদিকে পাথর মালিকদের কারনে তারা পাথর ফেলেও যেতে পারছে না। এমতাবস্থায় তারা সুরমা নদীতে দিনের পর দিনের প্রহর গুণে অসহায় হয়ে কানাইঘাট থানায় অবস্থান নিয়েছেন। অবস্থানকালে দেখা যায় বলগেট ও জাহাজের মাষ্টার, চুকানী ও স্টাফদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে আলফাজ শিকদার, আজিম উদ্দিন, টিটু মিয়া, মনির আহমদ, ফরিদুল আলম সহ বেশ কয়েকজন জানান তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। তারা আর নদীর মাঝে নৌকায় অনাহারে থাকতে পারছেন না। তাদের সাথে থাকা খাবার শেষ হয়ে গেছে। পাথর মালিকরা তাদের সাথে কোন যোগাযোগ করছেন না। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান শ্রমিকদের থানায় অবস্থানের কথা তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এখানে তার কিছু করার নেই। তিনি এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবেন না। তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা থানায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।