দোয়ারাবাজারে ধর্ষণের মামলা গ্রাম্য বিচার সালিশির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

দোয়ারাবাজারে ধর্ষণের মামলা গ্রাম্য বিচার সালিশির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ দোয়ারাবাজার উপজেলায় ধর্ষণের আইনি বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি চলমান মামলা গ্রাম্য বিচার সালিশির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের বাসিন্দা হাজী তেরাব আলীর সন্তান কবির আহমদের সাথে একটি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তারই চাচাতো বোন একই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের সন্তান হেলেনা বেগমের পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ১৩ মার্চ কবির আহমদকে আসামী করে দোয়ারাবাজার থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে এক‌টি মামলা দায়ের করেন হেলেনা বেগম। মামলা নং জিআর ২৫২০২০। ওই মামলায় সাড়ে ৫ মাস জেল হাজতে থাকার পর গত ২৫ আগস্ট আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন পান আসামি কবির আহমদ। মামলার রায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় এখনো মামলাটি চলমান রয়েছে। খবর পাওয়া গেছে, আসামী কবির আহমদ জামিন পাওয়ার পর মামলার বাদী হেলেনা বেগম মামলার বিষয়টি গ্রাম্য বিচার সালিশির মাধ্যমে শেষ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।ধর্ষণের মামলা ধামাচাপা দিতে সম্প্রতি গত ১৯ সেপ্টেম্বর একটি গ্রাম্য বিচার সালিশি বসে। বিচারে মামলার বাদী হেলেনা বেগম নিজের ভুল স্বীকার করে আসামী কবির আহমদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ, সাবেক ইউপি সদস্য শাদত আলী, মুক্তিযোদ্ধা ফতেফুল ইসলাম, লাল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য জহুর আলী, আমির বাদশা, ইউপি সদস্য আব্দুল গণি প্রমুখ। তবে গ্রাম্য সালিশি বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন ধর্ষণ মামলার আসামী কবির আহমদ। কবির আহমদ সাংবাদিকদের জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে সাড়ে ৫ মাস জেল হাজত খাটিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আমার ও আমার পরিবারের সম্মানহানী করা হয়েছে। এখন বিচার সালিশির নামে শুধুমাত্র দায়সারা ক্ষমা চেয়ে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মামলা ধামাচাপা দিতে আমাকে সামাজিক ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি গ্রাম্য বিচার সালিশিতে নয় বরং আইনি প্রক্রিয়ায় এই মামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার মতো আর কেউ যাতে এভাবে হয়রানির শিকার না হয়।আমি আশাবাদী আইনিভাবে সুষ্ঠু বিচার পাব। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ প্রতিবেদককে জানান, মামলার বাদী পক্ষের অনুরোধে আমরা কয়েকজন মিলে বসেছিলাম। তবে কোনো গ্রাম্য বিচার সালিশি হয়নি কিংবা মামালা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কাউকে চাপ দেওয়া হচ্ছেনা। মামলার বাদী হেলেনা বেগম নিজেই আমাদেরকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুরোধ করছেন তাদের মধ্যে নাকি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনি সালিশির মাধ্যমে শেষ করে ফেলতে চান। তবে এখনো বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ