ধর্ষণকাণ্ডে প্রতিবাদ-বিচারের দাবিতে উত্তাল সিলেট

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০

ধর্ষণকাণ্ডে প্রতিবাদ-বিচারের দাবিতে উত্তাল সিলেট

জুনেদ আহমদ :
স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের াবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সিলেট। শনিবার (২৬ সেপ্তেম্বর) ুপুর থেকে কলেজ ক্যাম্পাস সিলেট-তামাবিল সড়ক, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার পয়েন্ট, সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, সিলেট বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির াবিতে নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে বলেও জানানো হয়।শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকার পরেও কর্তৃপক্ষ কীভাবে ছাত্রাবাস খোলা রাখেন। কর্তৃপক্ষের অবগত থাকার পরেও কেন ছাত্রাবাস বন্ধ করে দেয়া হল না। যে কারণে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠে কলঙ্কের াগ লেগেছে বলে মনে করেন তারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্ররে কলেজ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ এসময় গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ্রুত গ্রেফতার ও বিচার াবি করেন। অন্যথায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুশিয়ারি দেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে ৩১ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এর পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় সিলেটের এমসি (মুরারি চাঁদ) কলেজও। একইসঙ্গে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশনা থাকার পরেও এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে প্রভাব খাটিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী থাকতো বলে জানা গেছে। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষের জানা থাকলেও এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে বেড়াতে এসে এক তরুণী গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন। ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা জোর করে স্বামীসহ ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কলেজ ছাত্রাবাসে। সেখানে তারা গৃহবধূর স্বামীকে বেঁধে মারধর করে তাকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।