জবির আবাসিক হলে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৩

জবির আবাসিক হলে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। তুচ্ছ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে হুমকি প্রদানের পাশাপাশি মারতে উদ্যত হবার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মুনিয়া আক্তার যূথীর বিরুদ্ধে।

রবিবার সকালে এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ছাত্রী হলের ৮ তলায় রান্না ঘরকেন্দ্রীক কিছু সমস্য সমাধানের জন্য সবাই মিলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় শনিবার রাতে। যেখানে সমস্যার বিষয়ে সবার মতামত জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু সর্বশেষ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের মনমতো একটি সিদ্ধান্ত দেয়, যা মেনে নেওয়া নিয়েই আপত্তি করে অধিকাংশ ছাত্রী। এর প্রেক্ষিতে ওই ভুক্তভোগ ছাত্রী ভোটের মাধ্যমে সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নিতে বলে। কিন্তু অভিযুক্ত মুনিয়া আক্তার যূথী রাগান্বিত হয়ে বলতে থাকে আমরা যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা মানতেই হবে। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। এমনকি উপাচার্য এসেও পরিবর্তন করতে পারবে না। এসব বলেই সে ওই ছাত্রীকে মারার জন্য উদ্যত হয়ে তার দিকে তেড়ে আসে। এসময় তার সাথে থাকা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী মুনিয়ার পক্ষ নেয়। তখন ভুক্তভোগী ছাত্রীর রুমমেটরা দ্রুত তাকে ঘটনাস্থল থেকে রুমে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমাকে যে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হয়েছে তা খুবই অমানবিক। মানসিক ভাবে আমি খুবই বিপর্যস্ত। এই ঘটনার রেষে পরবর্তীতে কোনোভাবে আবারও আক্রমণের শিকার হতে পারি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তিনি আরও বলেন, হলের অন্য মেয়েরাও দেখেছে আমার সঙ্গে কি আচরণ করা হয়েছে। আমি সবাইকে নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমাকে হল থেকে বলেছে এ বিষয়ে এখন কারো সাথে কথা না বলতে। আগামীকাল দুপুরে হলের আবাসিক শিক্ষকরা বসে সিদ্ধান্ত নিবে, আগে সেটা দেখি। তারপর আমার মতো করে আমি বিচার চাইবো।

তবে অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মুনিয়া আক্তার যূথীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে এ বিষয়ে ওই তলায় দায়িত্বরত সহকারী আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, হলে রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করে কারো কিছু করার অধিকার নেই। আমি বিষয়টি শুনেছি। হলে কেউ রাজনীতি করে বলে তাকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে না। আমরা প্রভোস্ট ম্যামের সাথে কথা বলে আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে বসবো।

এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিডি প্রতিদিন

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ