নিজস্ব প্রতিবেদক;;; অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের জেলার সহ-সভাপতি আবুল হোসেন খান ও বৃহত্তর জৈন্তা সিএনজি মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি এবং জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য নুরুল হক উরফে টোকেন নুরুল এর নেতৃত্বে চলছে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা মাসে লাখ লাখ টাকার টোকেন বাণিজ্য। তাদের টোকেন বাণিজ্য কিছুতেই থামছে না। তাদের এই টোকেন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বৈধ সিএনজি মালিকরা আন্দোলন করেও কোন লাভ হয়নি। অথচ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-চট্ট-৭০৭ এর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে ১ঘন্টার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ৫ দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে ১৪ অক্টোবর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে স্বেচ্ছায় জমা দেওয়ার কর্মসূচী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তাদের ঘরের ময়লা দূর না করেই চলছে আন্দোলন। নম্বরবিহীন সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য একটি চক্র। কিন্তু নেতারা কিছু সুবিধা পাওয়ার আশায় এই বাণিজ্য বন্ধ করতে নারাজ। তবে জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ দৈনিক সিলেটের দিনকালকে জানান, সংগঠনের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন খান ও নুরুলের টোকেন বাণিজ্যের ব্যবসা বন্ধে তাদের নিষেধ দেওয়া হলেও তারা বন্ধ করতে নারাজ। তবে আমরা এই বাণিজ্য বন্ধ করেই ছাড়বো।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি জাকারিয়া আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদ মিয়ার পরিচালনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-চট্ট-৭০৭ সহ-সভাপতি মো.সুন্দর আলী খান, আবুল হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল আহমদ, অর্থ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, মৌলভীবাজার লাইন উপপরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সম্পাদক জালালা উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজা আহমদ রাজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহী ঈদগাহ উপ-পরিষদের সম্পাদক এম. বরকত আলী, হুমায়ুন রশিদ চত্বর উপ-পরিষদের সভাপতি মো. মানিক মিয়া, আম্বরখানা উপ-পরিষদের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, বন্দর বাজার লাইন উপ- পরিষদের সভাপতি লিটন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা উপ-পরিষদের সম্পাদক শিবলী আহমদ, গহরপুর উপ-পরিষদের সহ-সভাপতি ফুলু মিয়া প্রমুখ। মানবববন্ধনে উত্থাপনের মধ্যে দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা সহ সিলেটের সকল উপজেলায় চলাচলরত ব্যাটারি চালিত রিক্সা, অটোবাইক, মিশুক, মটরবাইক দ্বারা যাত্রি পরিবহণ বন্ধ ও নিষিদ্ধ, বি.আর.টি.সি বাসের স্টপিজ আম্বরখানা থেকে সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর এবং নগর এক্সপ্রেস গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ, ঢালাওভাবে সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা বেআইনি বিক্রি বন্ধ এবং রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদানকৃত সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন অনতিবিলম্বে দেওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত বিআরটিএ কর্তৃক সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ, সিলেট শহর ও মেট্রোপলিটন এলাকার সি.এন.জি চালিত অটোরিক্সা পার্কিং স্থানের ব্যবস্থা সহ সিলেটের বালাগঞ্জ-সুলতানপুর রোড সহ সকল ভাঙা রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি