ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতক উপজেলা কৃষি অফিসের এক নারি কর্মচারী ও এক উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার প্রেমের কান্ড নিয়ে এ অফিসে ৬ মাস ধরে লংকাকান্ড ঘটে যাচ্ছে। এ নিয়ে অফিস পাড়ায় নানা গুঞ্জন চলছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অফিসে তাদের প্রেম প্রেম খেলা নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক ও হয়েছে। এতে কোন সমাধান হয়নি। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব মাহমুদ কর্তৃক একই অফিসের এক নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেন অফিসের ওই নারী কর্মচারী । যৌন হয়রানীর বিচার না করে অন্যায় ভাবে ওই কর্মচারীকে হুমকী ধামকী দিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন উপজেলা কৃষি ককর্মকর্তা। জানাযায়,একই অফিসে চাকুরীর সুবাধে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব মাহমুদ ও ঐ নারী কর্মচারীর মধ্যে। গত বন্যার সময় উপজেলা কোয়ার্টারে পানি উঠলে শোয়েব ও ঐ নারী কর্মচারী কৃষি অফিসে রাত্রি যাপন করেছেন একাধিকবার। এতে তাদের সর্ম্পক আরো গভীর হয়। গত কয়েক দিন ধরে শোয়েব কে ঐ নারী সহকর্মী বিয়ের জন্য চাপ দিলে শোয়েব টালবাহানা শুরু করেন। পরে ঐ নারী উপজেলা কৃষি কর্মকতার কাছে বিচার প্রার্থী হন।গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা কৃষি অফিসে শোয়েব ও ঐ নারী কে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন কর্মকতারা। তারা এ ঘটনার সুরাহা করতে না পেরে রবিবার ঐ নারী কর্মচারীর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক ভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানাযায় গেছে। ঐ নারীকে এ বিষয়ে নীরব থাকার পরামর্শ দিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বদলীর হুমকী দিয়ে নিরব থাকার পরামর্শ ও দিয়েছেন কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন অফিসের সুনাম নষ্ট করেছো তোমাকে ছাড় দেয়া হবে না এ তথ্য জানায় ওই নারী কর্মচারী। সে তার প্রেমের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারও করেছে। যা সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে রেকর্ডও রয়েছে। গত বুধবার এসব ঘটনা নিয়ে অফিসে শেষ বৈঠক অনুস্টিত হয়েছে। ওই বৈঠকে সুনামগঞ্জ ও দোয়ারাবাজারের কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে শোয়েব মাহমুদ ছুটি নিয়ে চলে গেছেন। এখনো তিনি আর কর্মস্থলে ফিরেননি। উপজেলা পরিষদ এলাকায় এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব মাহমূদ জানান, আমার ওপর আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমি ষড়যন্তের শিকার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক ইমাম খান জানান,শোয়েব মাহমুদ এর বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীর আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।তবে,সঠিক না হলে শোয়েব মাহমুদ কেন ঐ নারী কর্মচারী সাথে ফোন বারবার দীর্ঘ সময় সময় কি আলাপ করলেন এ ব্যাপারে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।