মিনাবাজারের মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা, ব্যবসায়ী কমিটি ও এলাকাবাসীর নিন্দা

প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

মিনাবাজারের মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা, ব্যবসায়ী কমিটি ও এলাকাবাসীর নিন্দা

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়ন তথা এই অঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ বাজার মিনা বাজার(আক্তাপাড়া)। অনেক সুনাম রয়েছে এই বাজারের। এই বাজারে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আসেন কেনা বেচা করতে। বাজার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য রয়েছে ব্যবসায়ী কমিটি।

বর্তমান চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতি সোমবার ও শুক্রবার হাট বসে। প্রতিবছর বাজার কমিটি হাটবাজার ইজারা পেলেও এবার সরকারিভাবে ইজারা পেয়েছেন অন্য একজন৷ তিনি ঠিকটাক মত ইজারাও উত্তোলন করছেন। বাজার কমিটি ও ইজারাদারের মধ্যে কোন বৈসাদৃশ্য দেখা যায়নি।

কিন্তু গত ১০ জুন কে বা কারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করেছেন বাজারে ইজারা আদায়ে নাকি ব্যবসায়ী কমিটি ইজারাদারদের বাঁধা সৃষ্টি করছেন। এবং ইজারাদারকে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় নিউজ করা হয়েছে । নিউজটি বাজারের ব্যবসায়ী তথা এলাকাবাদীর দৃষ্টিগোচর হলে তারা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানা। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী কমিটির ধারনা কেউ উদ্দেশ প্রনোদিতভাবে তাদের এলাকার ও বাজারের মান ক্ষুন্ন করতে এমন অপচেষ্টা চালাচ্ছে৷

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই চলছে হাট। এখানে এলাকাবাসী বা ব্যবসায়ী কমিটির কেউ ইজারাদার বা ক্রেতা-বিক্রেতাকে কোন প্রকার বাঁধা দিচ্ছেন না। ইজারাদার তার ইজারা আদায় করছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অবস্থান করেও কোন প্রকার ঝামেলা পরিলক্ষিত হয়নি এই প্রতিবেদকের চোখে। তবে দেখা যায়, সরকারিভাবে লিজ নিলেও কোন মূল্য তালিকা না থাকায় যার কাছে যত পারা যায় ইজারা আদায় করছেন ইজারাদার। এতে করে বিভ্রান্তি পড়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। নির্ধারিত ইজারার মূল্য তালিকা থাকলে তাদের জন্য সহজ হত বলেও দাবী করেছেন অনেকে।

বাজারে কথা হলে পাথারিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের নৌকা বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে ব্যবসায়ী কমিটি কোন কিছুতে বাধা দেন না। আমি নৌকা বিক্রি করে ইজারা দিয়ে আসছি৷ আমার কোন সমস্যা হয় নি।

নৌকা ক্রেতা বীরগাওয়ের রইস উদ্দিন বলেন, আমি একটি নৌকা কিনে ইজারা দিয়ে আসছি। বাজার কমিটি বা এলাকার লোক কোন কাজে সমস্যা করছেন না।

এক বাঁশ ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, খুব শান্তিশৃঙ্খলায় বাশ বিক্রি করছি। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। ইজারাদারকে ইজারা বুঝিয়ে দিচ্ছি। এলাকাবাসী বা ব্যবসায়ী কমিটির কেউ কখনোই কোন বিরক্ত করছেন না।
কথা হলে এক ইজাদার বলেন ইজারা আমরা নিজেরাই উত্তোলন করছি, ইজারা তুলতে কেউ আমাদেরকে বাঁধা দিচেছন না।

আক্তাপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে আমি সরকারি জায়গায় ঘর বানিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি রাস্তার পাশে মাটি ভরাট করে টিনের একটি ছাপটা বানিয়ে আমি সরকারি বরাদ্দের অর্ডারকৃত বিভিন্ন স্যানেটারী তৈরি করি ও সরবরাহ করি। ২০ বছর যাবৎ এখানে ব্যবসা করছি কারও কোন সমস্যা হয়নি।

এ ব্যাপারে আক্তাপাড়া(মিনা বাজার) পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক মেম্বার আব্দুল আজিজ বুধন বলেন, সরকারিভাবে যারা বাজার লিজ এনেছেন তারা তাদের ইজারা আদায় করছেন। এখানে এলাকাবাসী বা বাজার কমিটির কেউ কোন বাঁধা দিচ্ছেন না। কিন্তু জানিনা কে বা কারা আমাদের মান ক্ষুন্ন করার জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগের আলোকে নিউজ করিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এলাকাবাসীর পক্ষে রসুলপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন বলেন,কে বা কাহারা মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ ও সংবাদ প্রচার করে ঐতিহ্যবাহী মিনাবাজার ও কমিটি সহ এলাকাবাসীর মানহানী করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ভিত্তিহীন বিষয় ঘটাতে চেষ্টা করলে আমরা কমিটি সহ এলাকাবাসী মিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হব।

মিনাবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি পল্লী চিকিৎসক এ এল জি জামান চৌধুরী বলেন, মিনা বাজার অত্যান্ত শান্তিপ্রিয় বাজার। এখানে দুরদুরান্তের মানুষ হাটে আসেন তাদের সাথে কখনোই কোন খারাপ আচরণ করা হয়নি। এ বছর বাজারটি সরকারিভাবে লিজ দেয়া হয়েছে। যারা লিজ পেয়েছেন তারা তাদের ইচ্ছামত ইজারা আদায় করছেন কেউ তাদের কোন বাঁধা দিচ্ছে না। কিন্তু কে বা কারা আমাদের বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ