মখলিসুর রহমানরা কাজ করেন দেশের দুর্দিনে এবং দুস্থ মানুষের কল্যাণে

প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

মখলিসুর রহমানরা  কাজ করেন দেশের দুর্দিনে এবং দুস্থ মানুষের কল্যাণে
সাদেকুল আমিন
বেশ কিছু দিন থেকে লিখব লিখব করে লেখা হচ্ছে না। আমার মত যারা লেখালেখিতে অভ্যস্ত নন তারা বিলেতের কর্মব্যস্তু জীবনে সময় করে উঠতে পারেন না। করনাভাইরাসের আবির্ভাব ও লকডাউনের সময বর্তমান পৄথিবীর প্রায় সবাই যখন ঘর বন্দী তখন আমার অবস্থাও তাই। এ বন্দী অবস্থা থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার লেখাটা শেষ করব। কিন্তু বেশ দ্বিধা দ্বন্দে ভুগছিলাম, কিভাবে লিখব তা স্থির করতে। অনেক ভেবে চিন্তে মনে হল বাংলায়ই লেখা ভালো হবে। কিন্তু ড্রাফটা ছিল ইংরেজিতে। বাংলায় এটা হচ্ছে আমার প্রথম কোনো লেখা।
যুক্তরাজ্যে কানাইঘাট এসোসিয়েশন ইউকে একটি প্রাচীনতম অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। বর্তমানে এ সংগঠনের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন মখলিছুর রহমান (জুনিয়র)। একজন অত্যন্ত আন্তরিক, কর্মঠ ও টগবগে মধ্যবয়সী পুরুষ। তিনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচুর লেখালেখি করেন। ফেইসবুকে তাঁর “সরল কথা” লেখার আমি একজন ভক্ত।
তাঁর ইচ্ছা আমাকে নিয়ে তিনি প্রবাসে বসবাসরত কানাইঘাট এলাকার বেশ কয়েকজন সিনিযর মুরুব্বিদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের জীবনের জানা অজানা উল্খেযোগ্য দিকগুলো নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরবেন ।
তিনি আমার সাথে আলাপ করলেন। তাঁর কথা শুনে মনে হল এটা একটা ভালো কাজ। আমার স্মৃতিতে জেগে উঠলো বংলা মিররের কথা – Bangla Mirror newspaper. লন্ডন থেকে প্রকাশিত ইংরেজি পত্রিকা – The first English weekly for the Brits Bangladeshis. ২০০২ সালে আমরা পাঁচজন শুরু করেছিলাম পত্রিকাটি। তাঁর এ প্রস্তাবটি আমাকে ভীষণ নাড়া দিল। মনের আয়নায় ভেসে উঠলো সেই ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের দিনগুলো। লন্ডন শহরের আশে পাশে ও ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে ঘুরে সক্ষাৎকার নেওয়ার দিন রাত্রি। আমার প্রিয় বন্ধু, কবি, লেখক ও সাংবাদিক সফি আহমদ এবং অন্যদের সাথে। সেটা ছিল এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। আমি রাজি হয়ে গেলাম। সিদ্ধান্ত হল ব্যক্তি, দিন, তারিখ ও সময় ঠিক করে আমাকে জানানো। এ সুবাদে আজ আমাদের প্রথম দেখা সাক্ষাৎ করার পালা।
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯ সাল। কিছুদিন থেকে লন্ডন শহরে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। সাধারণত ইংল্যান্ডে শীতের মৌসম শুরু হয় অক্টোবর মাসে।
নভেম্বর মাসে লন্ডনে রাত বেশ লম্বা। প্রায় সব মসজিদে এশার নামাজের জামাত হয় রাত ৭ টার দিকে। আগে থেকে ঠিক করা ছিল আমরা এশার নামাজের পর যাত্রা শুরু করব। মিলিত হব ইস্ট লন্ডনের বো ফ্লাই ওভারের (Bow Flyover) পাশে বো সেন্ট্রাল মসজিদের (Bow Central Mosque) সামনে। এই মসজিদটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন লন্ডনে অতি পরিচিত কানাইঘাটের কৃতি সন্তান জনাব ব্যারিস্টার কুতুবউদ্দিন আহমদ সিকদার এমবিই। বলতে গেলে, এখান থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হবে আজকের গন্তব্যে।
রাত তখন প্রায় সাড়ে ৭টা। কথা মতো আমি বাসা থেকে রওয়ানা দিলাম। বো তে এসে গাড়ি পার্ক করলাম। যখন ফোন করবো তখন দেখি সেক্রেটারি সাহেব গাড়ি পার্ক করে বসে আছেন। কনকনে শীতের রাত। তড়াতাড়ি করে তাঁর গাড়িতে উঠলাম। গাড়ীর ভিতরে বেশ গরম। ভালো লাগল। সেক্রেটারি সাহেবকে বেশ ফরফরা মনে হল। কুশলাদি শেষ করে বললাম এখন আমাদের গন্তব্যে রওনা দেওয়ার সময়।
বো এলাকা হতে রেডব্রিজ যেতে সাধারণত বিশ থেকে ত্রিশ মিনিট লাগে। আমরা গন্তব্যে পৌঁছার কথা রাত্র ৮ টার দিকে। সেক্রেটারি সাহেব উনার অত্যাধুনিক গাড়ী এবং লেটেস্ট মোবাইল আই ফোন নেভিগেশনে দেখলেন গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা। অবাক কান্ড। কারণ দেখাচ্ছে এ১২ রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম। এ সময় এত ট্রাফিক হওয়ার কথা নয়। অন্য রাস্তা দিয়েও প্রায় সমান সময় লাগবে। কি আর করা, তিনি তাঁর গাড়ীর হেন্ড ফ্রি ফোন থেকে কল করে জানিয়ে দিলেন আমরা পৌঁছাতে দেরি হবে। এরই মধ্যে দুজনে আলাপ করে নিলাম আজকের সাক্ষাৎকারটা কিভাবে হবে। মনে হল তিনি বেশ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। যাই হউক, আমরা রাত প্রায় সাড়ে ৮ টার দিকে আমাদের গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছলাম।
আজ আমরা একান্ত আলাপচারিতা করব বিলাতে কানাইঘাটবাসীর অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব, আপনজন ও সদালাপী – কানাইঘাট এসোসিয়েশন ইউকে এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ মখলিসুর রহমান (সিনিয়র) সাহেবর সাথে।
আমাদের আলাপচারিতায় আমরা তাঁর জীবনের অনেক জানা অজানা কথা ও অভিজ্ঞতা তাঁর নিজের কাছ থেকে জেনে নিব।
মোহাম্মদ মখলিসুর রহমান ১৯৪৩ সালের ১৬ই মার্চ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়নের দর্জিমাটি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা আবদুস সাত্তার ও মাতা আসিয়া বিবি। দাদা হাজী আব্দুল গফ্ফার ও নানা জনাব আব্দুল বারী। একই গ্রামে তাঁর দাদা ও নানা বাড়ী।
চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মখলিসুর রহমান ও জাবিদা খানমের মা এক। অন্য তিন জন সৎ ভাই ও এক জন সৎ বোন।
মোহাম্মদ মখলিসুর রহমান নুরুন নবী প্রাইমারি স্কুলে পড়ালেখা শুরু করেন। তিনি এই স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। ১৯৫২ সালে কৃতিত্ত্বের সাথে পঞ্চম শ্রেণী শেষ করেন। পরে তিনি দুই বছর গাছবাড়ী জুনিয়র স্কুলে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। এলাকাতে হাই স্কুলের সুবিধা না থাকায় তিনি জকিগঞ্জের বারহাল হাই স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতে পড়ালেখা করেন এবং ১৯৫৮ সালে কৃতিত্ত্বের সাথে মেট্রিক পরীক্ষা পাশ করেন।
১৯৬০ সালে তিনি সিলেট মুরারি চাঁদ কলেজ থেকে কৃতিত্ত্বের সাথে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেন ।
১৯৬২ সালে তিনি হবিগঞ্জ জেলার বৃন্দাবন কলেজ থেকে বি কম ডিগ্রী কোর্স সম্পন্ন করেন। তার এলাকায় তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৬২ সালেই তিনি গাছবাড়ী জুনিয়র স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি প্রায় এক বছর এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে ছিলেন।
তিনি সে সময় ভালো চাকরি খুজতে থাকেন। তখন কানাইঘাটের এক ব্যক্তি তাকে যুক্তরাজ্যে চাকরি ভিসার তথ্য দেন। তিনি যথারীতি দরখাস্ত দাখিল করেন। অফিস থেকে ভিসার জন্য পাসপোর্ট সহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে অনুরোধ করে। তিনি সব কাগজপত্র জমা দেন এবং ভাগ্যক্রমে ভিসা পেয়ে যান।
১৯৬৩ সালের জুলাই মাসে তিনি লন্ডনে চলে আসেন। তখন বিমানের ভাড়া ছিল ১৯০০ টাকা। পরিবারের পরামর্শক্রমে তিনি ব্যাংক থেকে ২০০০ হাজার টাকা লোন নেন এবং তা দিয়ে টিকেট করেন।
বিমানে পরিচয় হয় সিলেটের এক ভদ্রলোকের সাথে। হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দুজন একসাথে সোজা গিয়ে উঠেন Spitalfield এলাকার প্রখ্যাত দিলচাঁদ রেস্টুরেন্টে। এ রেস্টুরেন্টের সত্বাধিকারী হলেন সিলেটে ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব শফিক চৌধুরীর পরিবার। তিনি দিলচাঁদে ছিলেন মাত্র দুই বা তিন দিন।
পরে তিনি নর্থ ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ড শহরে চলে যান। সেখানে থাকতেন কানাইঘাটের বড়দেশ গ্রামের জনাব শুকুর মোহাম্মদ। প্রায় তিন বছর সেখানে থাকার পর তিনি চলে যান লিডস শহরে। লিডসে তিনি প্রায় দুই বছর ছিলেন এবং একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন।
১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশে যান। দেশে ফিরে তিনি গাছবাড়ী স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। সেখানে তিনি প্রায় এক বছর শিক্ষকতা করেন।
মোহাম্মদ মখলিসুর রহমান ১৯৬৮ সালের ১ এপ্রিল কানাইঘাটের বড়দেশ উত্তর গ্রামের জনাব আব্দুস সামাদ ও মোসাম্মাৎ সিদ্দিকারা বেগমের মেয়ে মোসাম্মাৎ রওশনারা বেগমকে বিবাহ করেন।
তিনি ১৯৬৯ সালের মে বা জুন মাসে লন্ডনে চলে আসেন। এবার তিনি ইস্ট লন্ডনের ফোর্ড্যাম ষ্ট্রীটে জনাব শুকুর মোহাম্মদ ও জনাব মফিজ উদ্দিনের সাথে থাকেন। তখন তিনি এক knitting ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে। ১৯৭৩ সালে মোহাম্মদ মুখলিসুর রহমান দেশে যান। এ বছরই তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে লন্ডনে নিয়ে আসেন।
আমাদের আলাপচারিতা বেশ জমে উঠে। এর ফাঁকে আমরা চা নাস্তা সেরে ফেলি।
তিনি ১৯৭৪ সালে পোস্ট অফিসে ভালো একটি চাকরি পেয়ে যান। তখন ইংল্যান্ডের পোস্ট অফিস ছিল একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।
১৯৭৫ সালে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা ও আমল আখলাকের কথা চিন্তা করে পরিবারকে দেশে পাঠিয়ে দেন। দীর্ঘ ৮ বছর দেশে থাকার পর ১৯৮৩ সালে তিনি আবার তাদেরকে লন্ডনে নিয়ে আসেন। তখন নর্থ লন্ডনের ম্যাসওয়েল হিল এলাকাতে কিছুদিন থাকেন। পরে পাশের উডগ্রীন এলাকায় একটি বাড়ি ক্রয় করেন এবং দীর্ঘ ২৮ বছর সেখানে বসবাস করেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত পরহেজগার। তিনি সবসময় এলাকার মানুষের ভালো, মন্দ, জীবন ও মৃত্যুতে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
১৯৮৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে কনাইঘাটের কয়েক জন বিচক্ষণ ও দূরদর্শী ব্যক্তি দল মত নির্বিশেষে কানাইঘাটবাসীদের মধ্যে জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে কানাইঘাট এসোসিয়েশন ইউকে প্রতিষ্ঠা করেন।
মোহাম্মদ মখলিসুর রহমান ছিলেন এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তিনি দুই টার্ম যথাক্রমে ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ এবং ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এ গুরু দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি এসোসিয়েশনের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে, তিনি এ সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য।
তিনি প্রতিষ্ঠাতালগ্ন থেকে আজ অবধি এ সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তাদের শুরু করা এ সংগঠন দেশের দুর্দিনে এবং দুস্থ মানুষের কল্যাণে, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা উন্নয়নে উল্খেযোগ্য সাহায্য সহযোগিতা করছে ।
দীর্ঘ ২৭ বছর কাজ করার পর ২০০১ সালে তিনি পোস্ট অফিসের চাকরি থেকে যথাসময়ের পূর্বে অবসর গ্রহণ করেন।
মোহাম্মদ মখলিসুর রহমানের প্রিয় খাবার হচ্ছে চিংড়ি ও কই মাছের বোনা, ছোট মাছ ও বড় মাছের সাথে সাতকরা। প্রিয় ফল আপেল ও পেপে এবং প্রিয় খেলা বলিবল ও টেনিস।
তাঁর প্রিয় কবি বাংলাদেশর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং প্রিয় ব্যক্তি হলেন মাওলানা হরমুযুল্লাহ (রাহ.) সাহেব। যিনি ছিলেন গাছবাড়ী জামিউল উলূম কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও তাবলীগ জামায়াতের আমির।
তিনি দীর্ঘ ৫৭ বছর লন্ডন ও ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে  বসবাস করেন। দেশ বিদেশের অনেক পঠ পরিবর্তন দেখেছেন কাছে থেকে। তাঁর সমসাময়িক ও বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই আজ আর নেই। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মরহুম আমিন উদ্দিন, মরহুম মমতাজ উদ্দিন, মরহুম আব্দুল মজিদ, মরহুম সাইদুর রহমান, মরহুম শুকুর মোহাম্মদ, মরহুম রকিব উদ্দিন, মরহুম সাহাব উদ্দিন, মরহুম মোহাম্মদ সোলেমান ও মরহুম শওকত আলি সাহেব।
তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা হলেন হাজী হায়াত উল্লাহ্, জনাব আতাউর রহমান, জনাব আব্দুল কাহির চৌধুরী ও জনাব আব্দুর রহমান।
তাঁর এক ছেলে শামিম আহমদ এবং দুই মেয়ে আনজুমানারা বেগম (রুবি) ও গূলশানারা বেগম (রুমি)। বর্তমানে তিনি নাতি নাতনি নিয়ে ইস্ট লন্ডনের রেডব্রিজ এলাকায় বাস করছেন।
পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন মোহাম্মদ মখলিসুর রহমান সাহেবকে নেক হায়াত দান করেন। আমিন।
 —————————–———–
লন্ডন। জুন ২০২০। সাদেকুল আমিন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ