ঈদে প্রস্তুত বিনোদন কেন্দ্রগুলো

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৩

ঈদে প্রস্তুত বিনোদন কেন্দ্রগুলো

ঈদে প্রস্তুত বিনোদন কেন্দ্রগুলো

অনলাইন ডেস্ক

 

প্রতি বছরই ঈদের দিন থেকে ঈদের পর ছুটির কয়েকদিন বেশ ভিড় থাকে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের ছুটি উপভোগ তাই এবারও রাজধানীবাসীর জন্য খোলা থাকছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। তাই ঈদকে সামনে রেখে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।

ঈদের জামাত শেষে কোরবানি নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় দুপুরের পর থেকে পরবর্তী কয়েকদিন দিন ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও বেশ ভিড় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও ঈদ উপলক্ষে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা।
রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে চিড়িয়াখানা, জাতীয় জাদুঘর, ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড (শিশু মেলা) ও হাতিরঝিল দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও প্রস্তুত রাজধানীর অদূরে অবস্থিত ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্ক। ঈদের ছুটিতে এই বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠবে বলেই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা সেজেছে নতুন সাজে। সংস্কার করা হয়েছে চিড়িয়াখানার ভেতরের রাস্তা। বিভিন্ন পশুর শেডে চলছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। এবারের ঈদের ছুটিতে চিড়িয়াখানায় অন্তত এক থেকে দেড় লাখ দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। সবসময়ই জাতীয় চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাই প্রস্তুতিও একটু ভিন্নরকম হয়ে থাকে।

ঈদের প্রস্তুতির বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মজিবুর রহমান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছি। ঈদ উপলক্ষে আমাদের পশুর শেড ও শেডের বাইরে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক সাইন বোর্ডের সংখ্যা বাড়বে। ঈদের ছুটিতে চিড়িয়াখানা খুলবে সকাল ৯ টায় এবং বন্ধ হবে সূর্যাস্তের পর।

অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রেও ছোটখাটো সংস্কারসহ ঈদের ভিড় সামাল দিতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এবার ঈদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে নগরবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল। বিগত ঈদুল ফিতরে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে দর্শনার্থীতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যদিও এবার ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্টোরেল। তবে ঈদের পরে থেকে চলাচল করবে।

রাজধানীতে মনোরম পরিবেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি উপভোগের জন্য প্রস্তুত হাতিরঝিল। এখানে আগতদের জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে হাতিরঝিলের বোট সার্ভিস। হাতিঝিলের বোট কাউন্টার থেকে ঈদ স্পেশাল বোট সার্ভিস চালু থাকবে।

ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডে দর্শনার্থীদের জন্য ৪০টি রাইডার রয়েছে। যার মধ্যে ১৫টি রাইডার সবাই চড়তে পারলেও বাকিগুলো কেবল শিশুদের জন্য। ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে খোলা থাকবে ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড। প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা।

এছাড়াও নন্দন পার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, সংসদ ভবন, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত জায়গায় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

এদিকে অনেকেই ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় মনের আনন্দে ঘুরে-বেড়ান রিকশায়। কেউ আবার শখের বসে পরিবার-পরিজন নিয়ে চড়েন ঘোড়ার গাড়িতে। সাধারণত গুলিস্তান থেকে সদরঘাট এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি চলাচল করলেও ঈদের ছুটিতে সবখানেই চলতে দেখা যায়। এছাড়াও অনেকেই সদরঘাটে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন।

ফাঁকা ঢাকায় রাজধানীবাসীকে নিরাপত্তার চাদের মুড়িয়ে রাখতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিডি প্রতিদিন