ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ২ পুলিশ সদস্যের, আক্রান্ত অর্ধশত

প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২৩

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ২ পুলিশ সদস্যের, আক্রান্ত অর্ধশত

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ২ পুলিশ সদস্যের, আক্রান্ত অর্ধশত
ঝুঁকিতে ওয়ারী ও লালবাগ বিভাগ

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ২ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত তাদের পরিবারও। এ ছাড়া আরও অর্ধশতাধিকের বেশি পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশের দুই সদস্য হলেন– হাজারীবাগ থানার কনেস্টবল রাসেল শিকদার ও গেন্ডারিয়া থানার নারী কনেস্টবল আয়েশা আক্তার। এদিকে পুলিশের ওয়ারী ও লালবাগ বিভাগ সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ডেঙ্গুর অবস্থা খুবই খারাপ। ইতোমধ্যে ডিএমপির দুই পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। আরও অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। তাদের রাজারবাগ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগসহ পুরান ঢাকা এলাকাকে ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, সদরদপ্তরের পক্ষ থেকে সব বিভাগ, থানা ও ব্যারাকগুলোতে যেন কোনোভাবেই পানি জমতে না পারে, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিটি কপোরেশনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে পুলিশের সব স্থাপনা ও ব্যারাকে কীটনাশক ছীটানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি ডিএমপির সব পুলিশ সদস্যকে অটো মাস্ক, মশানিধক ক্রিম ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যারাকগুলোতে মশাশি ছাড়া ঘুমাতে নিষেধ করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন বলেন, সদরদপ্তর থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রতিটি ইউনিট ও থানাকে নির্দশনা হয়েছে। সব ফোর্স নির্দেশনা মেনে চলছে। এখন পর্যন্ত লালবাগ এলাকায় একজন সদস্য মারা গেছেন। আর তিনজন সদস্য আক্রান্ত আছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গেন্ডারিয়া থানার ওসি আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, ঈদের আগে ২৩ জুন নারী কনেস্টবল আয়েশা আক্তার মারা যান। এরপর আরও দুজন সদস্য আক্রান্ত হন। এখন তারা ভালো আছে।

তিনি আরও জানান, ব্যারাকসহ থানা সবসময় পরিষ্কার রাখা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বাইরে ডিউটি করার সময় তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

ওসি আবু সাঈদ জানান, মৃত আয়েশার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী পলাশে। তার একটি শিশুসন্তান আছে।

ছোট বাচ্চা রেখে অফিস করতে কষ্ট হওয়ায় গত বছর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন আয়েশার স্বামী হারুন অর রশিদ। তিনি জানান, ছেলে আবরার হাসানকে (৪) নিয়ে গেন্ডারিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। বর্তমানে শিশুসন্তানকে নিয়ে নরসিংদী গ্রামের বাড়িতে আছেন তিনি।

হাজারীবাগ থানার ওসি আহাদ আলী বলেন, গত ২২ জুন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাসেল মারা যায়। তিনি হাজারীবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর। দুই সন্তানের বাবা ছিলেন তিনি।- খবর সমকালের