অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন এসআই আকবর

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২০

অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন এসআই আকবর

জুনেদ আহমদ :: অবশেষে গ্রেপ্তার করা হলো রায়হান হত্যার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে। ঘটনার পর থেকে আকবর পলাতক থাকলেও মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

তবে কোথায় থেকে এবং কি ভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

এর কিছু সময় আগে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় সাময়িক বহিষ্কৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

দুপুরে তাকে পুলিশলাইন্সে সুংযুক্ত থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের এসপি খালেদুজ্জামানে।

এর আগে সোমবার (১৯ অক্টোবর) রায়হান হত্যার ঘটনার দিন রাতে ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ৩ পুলিশ কনস্টেবল শামিম, সাইদুল ও দেলোয়ার ১৬৪ ধারায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন।

সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে তোলা হলে তারা ওই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ঘটনার বর্ণনা দেন এবং আদালত তা রেকর্ড করে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রায়হান উদ্দিন মারা যান। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান।

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।

সাময়িক বরখাস্ত চার পুলিশ সদস্য হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। আর প্রত্যাহার তিন পুলিশ সদস্য হলেন- এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।

সিলেটের চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত ভার পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।