চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জলহস্তী ও কুমিরের খাঁচা উদ্বোধন

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জলহস্তী ও কুমিরের খাঁচা উদ্বোধন

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জলহস্তী ও কুমিরের খাঁচা উদ্বোধন

অনলাইন ডেস্ক

 

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কুমির ও জলহস্তীর জন্য নবনির্মিত খাঁচা উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সোমবার বিকালে এসব উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, কাট্টলি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার ও চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, চিড়িয়াখানা এখন চট্টগ্রামের মানুষদের প্রধান বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সাধারণ দিন তো আছেই, বন্ধের দিনেও দর্শনার্থীর ঢল নামে। ইতিমধ্যে চিড়িয়াখানার আমূল পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। সামনে আরও পরিবর্তন আসবে। যুক্ত হবে নতুন নতুন পশু পাখি ও নানা জাতের প্রাণী। বাড়ছে চিড়িয়াখানার আয়তনও। খুব শিগগিরই এখানে যোগ হবে তিনটা জিরাপ। একই সঙ্গে বাড়বে চিড়িয়াখানার প্রায় ১০ একর আয়তন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, নামমাত্র টিকিটে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করা যাচ্ছে। আবার এই টিকিটের টাকা দিয়েই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামীতে এটিকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠা হয়। জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য সচিবের উদ্যোগে টিকিট বিক্রির টাকা দিয়ে আমূল পরিবর্তন হয় চিড়িয়াখানার। বর্তমানে এখানে ৭০ প্রজাতির ৬২০টি পশু-পাখি আছে। এর মধ্যে বাঘ, সিংহ, কুমির, জেব্রা, ময়ূর, ভালুক, উটপাখি, ইমু, হরিণ, বানর, গয়াল, অজগর, শিয়াল, সজারু, বিভিন্ন জাতের পাখি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

নতুন করে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক সিড়ি, পুরাতন খাঁচাগুলো ফেলে দিয়ে বানানো হয়েছে নতুন খাঁচা। কুমিরের খাঁচা সম্প্রসারণ করে করা হয় দ্বিগুণ। ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে প্রধান ফটক। বাড়ানো হয়েছে পশু পাখির সংখ্যা। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে নির্মিত হয়েছে ৩২ হাজার ১৬৪ বর্গফুট আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা। পুরো চিড়িয়াখানা এখন সিসি ক্যামেরার আওতায়। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বিস্তৃত পরিসরের কিডস জোন। দর্শনার্থীদের জন্য বানানো হয়েছে নান্দনিক রূপের বসার স্থান এবং পরিচ্ছন্ন শৌচাগার।

চিড়িয়াখানার তাপমাত্রা সঠিক রাখতে লাগানো হয়েছে হাজারেরও বেশি ফলদ ও ফলজ বৃক্ষ। প্রাণিখাদ্য সংরক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আলাদা স্টোর রুম, কোয়ারেন্টাইন রুম এবং অপারেশন থিয়েটারসহ আধুনিক প্রাণী হাসপাতাল। দর্শনার্থী ফি দিয়ে চিড়িয়াখানার পশু-পাখির খাদ্য যোগান ও নতুন প্রাণী সংগ্রহ করা হয়।

বিডি প্রতিদিন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ