সিলেটের সফল পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন কে দৈনিক সিলেটের দিনকাল এর ফুলেল শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০

সিলেটের সফল পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন কে দৈনিক সিলেটের দিনকাল এর ফুলেল শুভেচ্ছা

জুনেদ আহমদ
পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালন নীতিতে কাজ করে তিনি সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। যোগদানের পর থেকে তিনি একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছেন সিলেটবাসীকে। করোনা থেকে শুরু করে, এমসি কলেজের ধর্ষণ মামলার আসামী ও সর্বশেষ সিলেটের আলোচিত রায়হান হত্যার আসামী বন্দর বাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আকবর ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে সর্বমহলের প্রশংসীত হচ্ছেন তিনি। সেই প্রশংসার ফলস্বরুপ শনিবার (২১ নভেম্বর) সিলেটের দিনকাল পত্রিকার পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের কর্মদক্ষতার জন্য ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এসময় ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন সিলেটের দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মস্তাক আহমদ পলাশ, সিলেটের দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি এড. আফছর আহমদ, নির্বাহী সম্পাদক নাজমুল কবীর পাভেল, নিজস্ব প্রতিবেদক নিজাম উদ্দিন,সাংবাদিক রুহিন আহমদ, সুহেল আহমদ, শরীফ আহমদ,স্টাফ ফটো সাংবাদিক বিপলু আহমদ, প্রমুখ। ভারতের সীমান্তবর্তী জনপদ সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার অবস্থান ভারতের সীমানা ঘেঁষা। তাছাড়া তামাবিল স্থলবন্দরসহ ভারতের সীমানা ঘেঁষে দীর্ঘদিন থেকে উভয় দেশে বসে আসছে বৈধ-অবৈধ বেশক’টি হাট। দুই দেশের সীমানায় কোথাও নেই প্রাচীর। কোথাও কোথাও কাটা তারের ভেড়া থাকলেও উভয় দেশের চোরাকারবারিরা অত্যন্ত গোপনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে মাদক দ্রব্যসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্য নিয়ে যাতায়াত করে। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। তাই সিলেট জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কঠিন জিনিসকে সহয করে সীমান্তবর্তী এলাকায় একের পর এক চোরাকারবারী ও মাদক কারবারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারী ও মাদক কারবারীদের ঘাটি ভেঙে দিয়েছেন এসপি ফরিদ উদ্দিন। পুলিশ সুপারের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় কাগজে কলমে সমাপ্তি হওয়া ১৪৫৫ টি মামলার জট । টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে মামলাগুলোর বিশাল জট নিরসনে দ্রত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বিগত সময়ে ১৪৫৫টি মামলার মধ্যে ৯০৫টি মামলার মুলতবি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ওয়ারেন্ট তামিলের ক্ষেত্রেও রয়েছে স্মরণকালের সেরা সফলতা। তিনিই সিলেটের ইতিহাসে একমাত্র পুলিশ সুপার যার উদ্যোগে সিলেট জেলা পুলিশের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ২২৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেছেন। শুধু তাই নয় সিলেট জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তরুণ এই অফিসার। বিশেষ করে থানা গুলোতে নাগরিকদের আইনী সেবা দিতে তিনি অফিসার ইনচার্জদের প্রতি কড়া নির্দেশ দেন। এসপি ফরিদ উদ্দিন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশিত সেবাকে দ্রত জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেন অনন্য কৌশলে। তরুন এই পুলিশ কর্মকর্তা সুনামের সাথে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মেধাবী এই পুলিশ কর্মকর্তা ছোটবেলা থেকেই দায়িত্বের প্রতি আপোষহীন। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে সাড়াশি অভিযানের নির্দেশে এসপি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন মাদক ব্যবসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দমন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে শুরু হয় অপরাধীচক্রের নানা হিসাব-নিকাশ। নানাভাবে চেষ্টা করা হলো নতুন এসপিকে পথে আনার জন্য, কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই কাজে এলো না। একের পর এক ধরাশায়ী হতে থাকলো স্থানীয় মাদক সরবরাহকারীদের অনেকেই। আইনী পদক্ষেপের পাশাপাশি তিনি গড়ে তুলেন সামাজিক জনসচেতনতা। গ্রামের নিরীহ মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় করোনাকালে আস্থা ভরসার এক বাতিঘর নাম ফরিদ উদ্দিন। আমজনতার মধ্যে এক সমীহের নাম যেন তিনি। কথায় কাজে অমিল খোঁজে পায়নি কেউ। তার অধীনস্থ ১১ থানায় খাধ্য সংকটে থাকা মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তদের সহায়তা দিবে তার পুলিশ। শুধু ঘোষনা নয়, ঘরে পৌছে দেয়ার দায়িত্ব্ও নিয়েছেন তিনি। এবং ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিয়ে মানুষকে সাহয্য করে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন সিলেটের ইতিহাসে স্মরণকালের সফল পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ