সিলেটে পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি শিপন হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার ধন মিয়া

প্রকাশিত: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০

সিলেটে পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি শিপন হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার ধন মিয়া

অনলাইন ডেস্ক :: সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপি’র ঈশাগ্রাই গ্রামে শিপন হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্র মুলকভাবে জয়নুল হক ধন মিয়া মেম্বারকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত সাজানো মামলার সুষ্ট তদন্ত সহ ন্যায় বিচারের জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ঈশাগ্রাই গ্রামবাসী।
গত ১০জুন বুধবার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ই মে ২০২০ইং, বুধবার ইফতারের পূর্ব মূর্হুতে আমাদের গ্রামের ছোরাব মিয়া ও মানিক মিয়ার মধ্যে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ছোরাব মিয়ার পক্ষে আশিক মিয়া ও তার ছেলেরা মানিক মিয়া ও এলাইছ মিয়াকে আক্রমন করে। তখন এই পরিস্থিতি শুনে উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নুল হক ধন মিয়া দ্রুত ঘটনা স্থলে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উভয় পক্ষের কেউই কথা না শুনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তখন দু-পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র,শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে শিপন মিয়া নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে ছোবার মিয়া ও তাদের উষ্কানিদাতা একই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আওলাদ মিয়া ও তার ছোট ভাই আনিসুর রহমানের র্নিদেশে আশিক মিয়ার বড় ছেলে রিপন মিয়া, জয়নুল হক ধন মিয়া মেম্বারকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে শিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামী, তাহার বড় ছেলেকে ২নং আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তাদের উষ্কানিতে এই গ্রামে অতীতে আর দুই তিনটি মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত সংঘর্ষের সাথে ধন মিয়া মেম্বার বা তার পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই। তারপরও পূর্ব শক্রুতার জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
মূলত কিছু দিন পূর্বে আওলাদ মিয়া ও তার ছোট ভাই আনিসুর রহমানের কাছে ধন মিয়া মেম্বার মসজিদ সংস্কার উপলক্ষে লন্ডনে আদায় কৃত চাঁদার হিসাব চেয়ে ছিলেন। আওলাদ মিয়া ও আনিসুর রহমান মসজিদ সংস্কারের জন্য লন্ডনে ৪৫ লক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করেছিলেন। তারা দু’ভাই উক্ত উত্তোলনকৃত ৪৫ লক্ষ টাকার হিসাব সঠিক ভাবে দিতে পারেনি। পুরো টাকা থেকে খুব অল্প সংখ্যক টাকা মসজিদের সংস্কারের কাজে ব্যয় করে বাকি টাকা তারা দু’ভাই মিলে আত্বসাত করে নেয়। মেম্বার সহ এলাকার লোকজন উক্ত টাকা মসজিদে দেয়ার জন্য চাপ দিলে তখন তারা দু’ভাই তাদের সহযোগীদের দিয়ে বিভিন্ন সময় জয়নুল হক ধন মিয়া মেম্বারকে আক্রমন করে এবং হেনস্থা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে তারা দু’ভাই মিলে দেশ বিদেশে মেম্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে।
সেই শত্রুতার জের ধরে আশিক আলী ও মামলার বাদী নিহতের ভাই রিপন মিয়াকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে উক্ত শিপন হত্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য মেম্বারকে প্রধান আসামী -করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিপন নিহত হওয়ার পর তাদের পালিত বাহিনী ছোরাব ও তার ছেলেরা মিলে টুনি মিয়া, আনহার মিয়া, খালেদ মিয়া ও সুয়েব আহমদগণ সন্ত্রাসীদের দিয়ে আওলাদ মিয়া, নেছাওর মিয়া ও আনিসুর রহমানের নির্দেশে ধন মেম্বার ও তার নিকট আত্মীয়দের বাড়ি-ঘর, গাড়ী ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট করে। তাদের সংঘবদ্ধ আক্রমনে ধন মিয়া মেম্বারের একটি কার, ফরুক মিয়ার একটি সি.এন.জি এবং আব্দুল হাকিমের তিনটি বড় ষাড়, মোস্তফা মিয়ার ধান, আলা মিয়ার ধানের মেশিন ও ট্রাক্টর সহ সকলের বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। গরু, ধান ও মূল্যভাব জিনিসপত্র আওলাদ মিয়ার বাড়িতে ভাগাভাগি করে নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, একই গ্রামের জুবায়ের আহমদ এর পুত্র আক্তার হোসেন ধন মিয়া মেম্বারের সাথে ইউ/পি নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করে হেরে গিয়ে বিজয়ী ধন মিয়াকে হয়রানী করতে একেরপর এক ঘটনার সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। এরকমই একটি ঘটনার সাথে ধন মিয়া মেম্বারকে জড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন আক্তার হোসেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কল্পকাহিনী সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে বারবার হয়রানী করে যাচ্ছেন।
এমতাবস্থায় শিপন হত্যা মামলার সুষ্ট তদন্তসহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে গ্রামবাসী প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ