শাবিপ্রবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা

প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৪

শাবিপ্রবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা

শাবিপ্রবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা

অনলাইন ডেস্ক

 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

 

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের সামনে থেকে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ সার্বজনীন, বস্তুনিষ্ঠ এবং যুক্তি নির্ভর। বাঙালি জাতীয়তাবাদী দর্শন অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণমুখী, প্রগতিবাদী ও মানবতাবাদী। আর শেখ হাসিনা ব্যতিত বর্তমান বাংলাদেশে এই জাতীয়তাবাদ চেতনাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। কারণ তিনি আমাদের অনুভবে, চিন্তায়, চেতনায় ও আদর্শে আছেন। বাঙালি জাতি অর্থাৎ দেশপ্রেমী জনগণকে একত্রিত করা ও দেশকে রক্ষা করার জন্য এবং মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে তার প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল। প্রত্যাবর্তনের শুরু থেকেই তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শক্তিশালী অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করে চলেছেন। তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের মানুষের মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের মানুষের ভাত এবং ভোটের অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে চলেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের কৃষি বিপ্লবের ফলে কোনো মানুষ না খেয়ে আছে এমনটা কেউ বলতে পারবে না। আসলে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের তিন বেলা খাবার, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সবকিছু নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের বিরূপ পরিস্থিতিতেও শেখ হাসিনা এসব নিশ্চিত করেছেন।

সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমান বলেন, স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আমরা বাংলাদেশের মানুষ ও বাঙালির পুনঃশৃঙ্খলামুক্ত ও পুনঃস্বাধীন হবার উষালগ্নের সাথে তুলনা করতে পারি। সেদিন তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির আশা-ভরসা- আস্থার সোনালী সূর্যে পরিণত হয়েছিলেন যা আজও অব্যাহত রয়েছে। দেশে গণতন্ত্র কায়েম হয়েছে, গণমানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার দুরদর্শী ও বলিষ্ট নেতৃত্বে জাতির পিতার আজন্ম স্বপ্নক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত স্বাবলম্বী সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে, দুখি বাঙালির মুখে হাসি ফুটেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমস্ত্রী হচ্ছেন বাঙালির তথা মানবতার জননী, বাঙালির বিপুল প্রত্যাশার বাতিঘর, মেহনতি মানুষের আস্থার প্রতিক এবং উদার, গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতিকে বিশ্ব দরবারে যে মর্যাদায় আসীন করেছিলেন শেখ হাসিনা তা আরো অধিক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত, তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ ও চিরঋণী।

সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহসভাপতি মামুন শাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, সাবিহা সায়মন পুষ্প প্রমুখ।