মুফতি মাওলানা তাহের বাঁশবাড়ী (রাহ,) জিবনী

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০

মুফতি মাওলানা তাহের বাঁশবাড়ী (রাহ,) জিবনী

জয়নাল আজাদ :; যোগ্যতা, মেধা, অধ্যবসায় ও সাধনায় মাওলানা তাহের বাঁশবাড়ী (রাহ,).ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন।তিনি শত শত আলেমের উস্তাদ হিসেবে বরিত হয়েছেন। হাদিস শাস্ত্রে রয়েছে তার বিরল পন্ডিত্য।মাওলানা তাহের (রাহ.)ছিলেন প্রথম সারির অন্যতম আলেমে দ্বীন।যিনি ফতোয়ায়ে নাজিরিয়া গ্রুপ’র সদস্য ছিলেন।যার অকৃত্রিম সাধনা ও পরিশ্রমের ফলে মাদ্রাসায়ে তাহিরিয়া সালাফিয়া প্রতিষ্টিত হয়।তার জিবনী জানার আগ্রহ কম-বেশি সকলেরই আছে।
জন্ম: মাওলানা তাহের সিলেটী (রাহ,) সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউপির বাঁশবাড়ী গ্রামে ১৮২৩ খ্রি, জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার নাম আশু চৌধুরী।
শিক্ষাজীবন :প্রতিভাবান মাওলানা তাহের (রাহ,)এর মধ্যে বাল্যকাল থেকেই ইলমে নববী হাসিল করার প্রবল আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।তিনি প্রথমে তার নানার কাছে শিক্ষাজীবনের সৃচনা করেন।পরে তিনি দেশের প্রতিষ্টানগুলোতে লেখা-পড়া শেষ করে উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে দিল্লিতে যান। সেখানে গিয়ে মাওলানা মিয়া নাজির হোসেন দেহলভী (রাহ,)এর কাছে লেখা-পড়া করেন।দিল্লিতে প্রাতিষ্ঠানিক লেখা-পড়া শেষ করে মাওলানা তাহের (রাহ,)দেশে ফিরে আসেন।
কর্মজীবন :তার কর্মজীবনের সৃচনা দিল্লি,বর্ধমানও কলিকাতা, কলুটোলা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ছিলেন।এখানে প্রায় ৩৩বছর হাদিসের শিক্ষক ছিলেন।মধ্যখানে এসে দাম্পত্য জীবন শুরু করে চলে যান বর্ধমান জেলায়। সেখানে একটি ধর্মীয় পাবলিকেশেন্স এ দৃীর্ঘদিন দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং সেখান থেকে দ্বায়িত্ব পালন শেষে আনুমানিক ১৮৮৯খ্রি,৬১বছর বয়সে দেশে ফিরে এসে মাওলানা তাহের সিলেটী (রাহ,)প্রথমে ঝিংগাবাড়ী মাদ্রাসার উপাধক্ষের দ্বায়িত্ব পালন করেন।তার ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন আব্দুস সামাদ বানীগ্রামী (রাহ,)।এর পর ১৮৮৯খ্রি,বাশবাড়ী জামে মসজিদে দারসে হাদিস চালু করেন।সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত ছাত্র এসে পড়াশুনা করতেন।তার দারসে হাদিসের ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হলেন মাওলানা হুসাইন আহমদ(রাহ.)ফাগু,মাওলানা ইসমাঈল আলী (রাহ,)সেনগ্রাম,মুন্সী নেসার আলী (রাহ,)তিনচটি,মুন্সী ইউসুফ আলী (রাহ,)তিনচটি,মুন্সী আসগর আলী (রাহ)বড় মেসাব তিনচটি, তার ইন্তেকালের পর দারসে হাদিসের ধারাবাহিকতায় ফাগুগ্রামের পরামর্শক্রমে মাদ্রাসাটি বাঁশবাড়ী গ্রামের পশ্চিমে নেওয়া হয় এবং তার নামানুসারে মাদ্রাসার নামকরন করা হয়।শতবছরের প্রাচীন মাদ্রাসাটি মাওলানা মরহুম মুহাম্মদ আলীর প্রচেষ্টার মাধ্যমে বর্তমানে দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট এক টি প্রতিষ্টান এবং ৫শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী লেখা-পড়া করছে।তিনি তাহের সিলেটী (রাহ,)বাঁশবাড়ী গ্রামে সর্বপ্রথম মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।তিনি ফতোয়ায়ে নাজিরিয়া মুফতি গ্রুপের সদস্য ছিলেন।দিল্লির মিয়া নাজির হোসেন দেহলভী (রাহ,)এর মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করেন।ফতোয়ায়ে নাজিরিয়ার তার স্বাক্ষরিত অনেক ফতোয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে। তিনি তাহের সিলেটী নামে দেশ-বিদেশ সুপরিচিত ছিলেন।
বিবাহিও পরিবার:মাওলানা তাহের (রাহ,)বিবাহি করেন ঝিংগাবাড়ী।তার ৪ছেলে ৪মেয়ে। তার ছেলেদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হলেন মাও:আব্দুল কাইয়ুম (রাহ,)।তার ছেলেদের মধ্যে কেউ জীবিত নেই,তবে তার বংশধর অনেকেই আছেন। এই মধ্যে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আধ্যাপক মরহুম ড, মুজ্জামিল আলী,মাস্টার আতাউর রহমান,ডা সামছুর রহমান,মুজিবুর রহমান।
ইন্তেকাল : প্রখ্যাত আলেম মাওলানা তাহের (রাহ,)১৯৪৩খ্রি,আল্লাহ ডাকে সাড়া দেন।বাঁশবাড়ী জামে-মসজিদ মাঠে মাওলানা ইসমাঈল (রাহ,)এর ইমামতিতে তার নামাজের জানাযা সম্পাদন হয় এবং বাঁশবাড়ী জামে-মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।মাওলানা তাহের সিলেটী আজ আমাদের মাঝে নেই সত্য।কিন্তু মাওলানা বেচেঁ আছেন প্রতিটি জাগ্রত জনতার অন্তরে অন্তরে। তার কর্মময় জীবন যুগ যুগ ধরে অনাগতদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728293031  
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ