সিলেট ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
প্রতীকী ছবি
নাইট্রিক এসিড আবিষ্কারে মুসলমানদের অবদান
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
পৃথিবীব্যপী বহুল ব্যবহৃত একটি খনিজ নাইট্রিক এসিড, যা অ্যাকোয়া ফর্টিজ এবং স্পিরিট অব নাইটার নামেও পরিচিত। এটি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। সার কারখানা থেকে শুরু করে বিস্ফোরক পদার্থ প্রস্তুতিতে, খনি থেকে মূল্যবান ধাতু উত্তোলনে, স্বর্ণ আহরণে, রকেটের জ্বালানিতে, বৈদ্যুতিক সেল তৈরিতে এবং সেলুলয়েড, কৃত্রিম রং, কৃত্রিম সিল্ক প্রস্তুতিতে এর ব্যবহার রয়েছে।
এমনকি সোনার গয়না তৈরির শিল্পিদেরও সোনা থেকে খাদ বের করার জন্য নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করতে হয়। সোনাকে খাদমুক্ত করতে একে পোড়ানো হয় নাইট্রিক এসিড দিয়ে। আর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হয় সালফিউরিক এসিড। সোনা খাঁটি করার জন্য নাইট্রিক এসিড অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান। প্রযুক্তির উৎকর্ষ অর্জনে ব্যবহৃত অতি প্রয়োজনীয় এই এসিড তৈরি করেছেন একজন মুসলিম বিজ্ঞানী, যাঁকে রসায়নবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
রসায়নবিজ্ঞানের জনক জাবির বিন হাইয়ান তাঁর ‘কিতাবুল ইসতিতমাম’ গ্রন্থে নাইট্রিক এসিডের প্রস্তুত প্রণালী লিপিবদ্ধ করেন। যত দূর জানা যায়, তিনিই এর আবিষ্কারক। তিনি এর রাসায়নিক গুণাবলি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। যেভাবে তিনি এর রাসায়নিক গুণাবলি সম্পর্কে অবগত ছিলেন, যেভাবে তিনি এটি প্রস্তুত করেন, বিজ্ঞানের ইতিহাসের দিক থেকে তা কেবল অমূল্য নয়, এর বৈজ্ঞানিক মর্যাদা ও মূল্যও কোনোক্রমেই অল্প নয়। (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের অবদান : পৃ. ৩৬৫)
ভূগর্ভের খনিজ উত্তোলন থেকে শুরু করে দূর আকাশে দাপিয়ে বেড়ানো রকেটের সফলতার পেছনে এই মহাবিজ্ঞানীদের অবদান রয়েছে। এভাবে একসময় মুসলমানদের হাত ধরে বিজ্ঞান স্বর্ণযুগে পদার্পণ করেছে।
বিডি-প্রতিদিন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি