সিলেটসহ সারাদেশে নতুন বছরের শিক্ষাপঞ্জি তৈরি, ছুটি ৮৫ দিন

প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০

সিলেটসহ সারাদেশে নতুন বছরের শিক্ষাপঞ্জি তৈরি, ছুটি ৮৫ দিন

অনলাইন ডেস্ক : সিলেটসহ সারাদেশে নতুন বছরে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ দিন ছুটি রেখে শিক্ষাপঞ্জি তৈরি করেছে সরকার। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেই এ শিক্ষাপঞ্জি তৈরি করা হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন করে সোমবার তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এবারও প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত তিন দিনের ছুটিসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ৮৫ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। ছুটির তালিকার বিভিন্ন পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে বেশকিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

রমজান, মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাখী পূর্ণিমা, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৯ মে ৩১ দিন ছুটি থাকবে। এছাড়া ঈদ-উল-আযহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে ১৭ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ১২ দিন বন্ধ থাকবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.), দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ১১ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত নয় দিন ছুটি রাখা হয়েছে। এছাড়া শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস, বড় দিন উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিন ছুটি থাকবে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১২ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে অর্ধ-বার্ষিক/প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা এবং ২৮ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা হয়েছে।

মোট ১২ দিনের মধ্যে এসব পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল যথাক্রমে ১০ জুলাই, ৬ নভেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্ব-স্ব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ব্যতিত) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না উল্লেখ করে শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে।

এবারও ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ হিসেব করে প্রথম কর্মদিবস, অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদযাপনের জন্য রাখা হয়েছে।

নির্দেশনায় সরকার বলেছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।

ছুটির সময়ে অনুষ্ঠেয় ভর্তি বা অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। এছাড়া উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।

জেএসসি/এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়া অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোতে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠ বিবরণী নামে ডায়েরি ছাপাতে হবে এবং শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা বিলি করতে হবে।

জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস যেমন- ২১ ফেরয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ অগাস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকলেও সংশ্নিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে বলা হয়েছে এই রুটিন নির্দেশনায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
      1
16171819202122
23242526272829
30      
1234567
15161718192021
293031    
       
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ