মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৪

মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি

মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি

 

স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারে বিনা লাভের বাজার শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত এই বিপণন কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে উদ্যোক্তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের চৌমুহনা পয়েন্টে দেখা যায় ক্রেতারা নিত্যপণ্য কিনতে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। সাধারণত বাজার দর থেকে প্রতিটি পণ্যের মূল্য প্রায় ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সামায়েল রহমান, জাবেদ রহমান, তানজিয়া শিশির, আশরাফ, জাকারিয়া ইমন প্রমুখ।
রিকশাচালক মিফতা মিয়া বলেন, বন্যার কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। স্থানীয় বাজারেই সব্জির মূল্য কেজি প্রতি ২০-৪০ টাকা বেড়েছে। তবে এখানে কম মূল্য সব্জি পেয়ে আমি অনেক সব্জি কিনেছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের ছাত্র প্রতিনিধি জাকারিয়া ইমন জানান, ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, তাই ভোক্তাদের স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পাইকারি বাজার থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যের মূল্যের ব্যবধান কমেছে। আমরা মোট ১৫টি পণ্য বিক্রি করছি। আলু, বেগুন, শশা, লাউ, কাচামরিচ, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। এখানে ধনে পাতা কেজি ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, মরিচ কেজি ১৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, নিম্নবিত্তের জন্য এটি বেশ বড় একটি উদ্যোগ। তবে কৃষিপণ্যের পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ বিক্রি করা হলে দরিদ্র মানুষ আরও উপকৃত হতো।
গীর্জা পাড়া এলাকার গৃহিণী সেতেরা বেগম বলেন, বাজারে এখন ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। কয়েক বছর আগে ৩০০ টাকায় ব্যাগ ভর্তি হলেও এখন হাজার টাকাতেও হচ্ছে না। প্রত্যেকটা পণ্যের মূল্য কয়েকগুণ বেড়েছে। দাম কমার তো কোনো সম্ভাবনা নেই। সরকার ও প্রশাসন নিয়মিত বাজার তদারকি করে যেন দামটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনো সেই দাবি করি।

বাজারে আসা আব্দুল আলীম বলেন, আমি শহরে থাকি। আমার বাবা গ্রামে সবজি আবাদ করেন। এত শ্রম ও কষ্ট করার পর বাবা যে দামে সবজি বিক্রি করে, বাজারে এসে দাম কখনও কখনও দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণ নজরদারির ব্যর্থতা। আর এই ব্যর্থতা আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের জীবনকে কষ্টের করে তুলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের জেলা ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় ১৫ প্রকারের শাকসবজি নিয়ে তাদের এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল থেকে প্রায় ৫০০ ক্রেতা ন্যায্যমূল্যে কাচাঁমাল ক্রয় করার সুযোগ পেয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ