চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মেয়রের নতুন খবর

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৪

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মেয়রের নতুন খবর

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মেয়রের নতুন খবর

অনলাইন ডেস্ক

 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চসিকের দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বাস্থ্যসেবায় নতুন খবর দিলেন। মাতৃসদন হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল গড়ে তোলা এবং স্বল্প মূল্যে ডেঙ্গু রোগীদের রক্তপরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে বিশেষায়িত হাসপাতালের ঘাটতি মেটাতে কিডনি রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন, বিশেষায়িত ট্রমা, নিউরোসার্জিক্যাল ও বার্ন হসপিটাল স্থাপন করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।

বুধবার সকালে মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি গতকাল প্রথম অফিস করেন। প্রথম দিনে ব্যস্ততম সময় পার করেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা হবে। এক সময় চট্টগ্রামে মহিলা ও নবজাতক শিশুদের সেবায় মেমন হাসপাতালের আলাদা সুনাম ছিল। এখানে এসে চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম হাসপাতালে যন্ত্রপাতির ঘাটতি আছে। এই যন্ত্রপাতিগুলো সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় লোকবল দিয়ে মেমন হাসপাতালকে ঢেলে সাজানো হবে। বন্দরটিলা হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম হাসপাতালসহ চসিকের বেশ কিছু ভালো বড় হাসপাতাল রয়েছে, এগুলো সংস্কার করে স্বাস্থ্য বিভাগের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমি রাস্তাঘাট পরিদর্শন করব। ইতোমধ্যে আলকরণের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। পরিচ্ছন্ন বা স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে আমাকে জানাবেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। মশা মারতে এখন যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো যাচাই করব। দেখব ওষুধগুলো কাজ করছে কিনা। প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করব।

চিকিৎসক মেয়র বলেন, নিজের চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের নেতৃত্বে ছিলাম। রুগ্ন এই হাসপাতাল থেকে দায়িত্ব ছাড়ার সময় একটি ছয় তলা হাসপাতাল ভবনসহ সাড়ে তিন কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখে এসেছি। কখনো কোনো চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ বলতে পারেনি যে তাদের বেতন বকেয়া ছিল। ইনশাল্লাহ আমার আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার বাস্তবায়ন করব।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য খাতে চসিক বার্ষিক প্রায় ২১ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, যা প্রতি মাসে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এই খাতের উন্নয়নের জন্য চসিক বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সেবা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ রোগীকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে চসিকের হাসপাতালগুলোতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নজরদারি করবেন। ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগিং মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে এবং আমি নিজে উপস্থিত থেকে এর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করব।

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেনসহ চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ