‘নাগরিক আকাঙ্খা’ ক্যাম্পেইনে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সাফল্য

প্রকাশিত: ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

‘নাগরিক আকাঙ্খা’ ক্যাম্পেইনে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সাফল্য

‘নাগরিক আকাঙ্খা’ ক্যাম্পেইনে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সাফল্য

অনলাইন ডেস্ক

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর আয়োজনে এবং ইউএসএইড-এর অর্থায়নে
সিলেট জেলায় “আমিও জিততে চাই-নাগরিক আকাঙ্খা” শীর্ষক ইভেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) এই ইভেন্ট আয়োজন করা হয়।

 

নারী, যুবক এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে নাগরিকদের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করার বিষয়টির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়। এই ইভেন্ট এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা জোরদার করার মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছে জনগণের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করা এবং জনগণের আওয়াজ তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া।

সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা একযোগে অংশগ্ৰহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা শক্তিশালী, সৃজনশীল এবং সময়োপোযোগী চিন্তা ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা যেমন বাংলাদেশের ঐতিহ্য মৃৎশিল্পের সংরক্ষণ এবং হারিয়ে যাওয়া সিলেটি ছিকর বিস্কুটের পুনরুত্থান, পর্যটন নগরী
সিলেটের যুগ যুগ ধরে অবহেলিত চা শ্রমিকদের মানবাধিকারের লঙ্ঘণ, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা, আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সাইবার জগতে নারীর নিরাপত্তা, মেটাভার্সে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির রাজধানী কেন্দ্রকতা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা এবং সমাধানের উপায় ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

 

‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (মুগাস)’-এর পক্ষ থেকে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন বিভাগের কণ্ঠস্বর যোগ হয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মচিত হয়। বিজয়ীদের মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ছিলেন প্রিতম পাল (৫৭তম ব্যাচ), মোছা. ফারিহা জাহান রিফাত (৬০তম ব্যাচ) এবং নাফিসা ইসলাম (৬১তম ব্যাচ)। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ৬ষ্ঠ ব্যাচের প্রমি দেব ও মো. মোরছালিন রাজ। পাশাপাশি আইন ও বিচার বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শাহরিয়ার আলম মেহেদী তাপাদার এবং রায়হান তালুকদার ছিলেন। তারা প্রত্যেকে নিজের দক্ষতাকে প্রদর্শন করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। সমাজ এবং রাষ্ট্রকাঠামোর প্রতি জনগনের যে আকাঙ্খা রয়েছে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা তা তুলে ধরেছেন।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন বিজয়ীরা। তাদেরকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যাগুলি তুলে ধরা এবং কার্যকর সমাধানের প্রস্তাব করার জন্য তাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীরাই হচ্ছে আগামীর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি৷ কারণ তারা সমালোচনামূলক বিষয়গুলিকে আলোকিত করেছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির মূল্যবোধ প্রদর্শন করে।’

“আমিও জিততে চাই-নাগরিক আকাঙ্খা” ক্যাম্পেইনে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব শুধুমাত্র একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে যুব কণ্ঠের ভূমিকার ওপর জোর দেয় না বরং তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই শিক্ষার্থীরা নাগরিক দায়বদ্ধতার উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছে।